সফরকারী-আয়োজক দুপক্ষই খুশি

এই সফর নিয়ে দুই পক্ষই খুব খুশি। এক পক্ষের খুশির কারণটা বোঝাই যায়—তারা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশটিতে ভ্রমণ করতে পেরেছে। আরেক পক্ষ অর্থাৎ যারা সফরটা আয়োজন করেছে তারা খুশি, সফরটা ‘খুব সফল হয়েছে’।
বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের ১২ সদস্যের ফুটবল দলের আমেরিকা সফরকে এভাবেই দেখছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও ঢাকায় আমেরিকান দূতাবাস। আমেরিকার স্টেট বিভাগের সংস্কৃতি বিনিয়ম কর্মসূচির অংশ হিসেবেই ছিল ১২ দিনের এই সফর। যা শেষ করে পরশু ঢাকা ফিরেছে বাংলাদেশের সৌভাগ্যবান দলটি।
কাল বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরল দুই পক্ষ। তাতে জানা গেল, সফরে যাওয়া বাংলাদেশ দলের কাছে ওই কয়েকটা দিন ছিল স্বপ্নের মতো। ওয়াশিংটন ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে। নেওয়া হয়েছে ভার্জিনিয়া ও মেরিল্যান্ড রাজ্যেও। ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্ট, হোয়াইট হাউস, বিভিন্ন স্কুল, ওখানকার সেরা ৫ মহিলা ফুটবলারের সঙ্গে অনুশীলন, দর্শনীয় স্থান দেখানোসহ পেশাদার ফুটবল লিগে শিকাগো আর ডিসি ইউনাইটেডের ম্যাচ দেখানো হয়েছে বাংলাদেশের দলটিকে।
সফরে ছিল অনূর্ধ্ব-১৬ বছর বয়সী ছয় ছেলে ও ছয় মেয়ে। তাদেরই দুজন ওমর ফারুক ও আঞ্জুমান খন্দকার (শান্ত) জানাল, তাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে এই সফর। সঙ্গে যাওয়া কর্মকর্তা সত্যজিৎ দাস (রুপু) সফর নিয়ে অভিভূত, ‘যেখানেই গিয়েছি আমরা সবার প্রশংসা পেয়েছি। আমরা ওদের মন জয় করে এসেছি।’ আরেক সফরসঙ্গী কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তারের (কিরণ) কথা, ‘ওরা উষ্ণ আতিথেয়তা দিয়েছে আমাদের। আমাদের ছেলেমেয়েরা এই সফর থেকে অনেক কিছু শিখেছে।’
ভবিষ্যতেও এমন সফর অব্যাহত রাখতে চান ঢাকায় আমেরিকান দূতাবাসের তথ্য বিভাগের প্রধান মেরিনা ইয়াসমিন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘স্টেট ডিপার্টমেন্ট খুবই খুশি এই সফর নিয়ে। বাংলাদেশের এই সফরটা সবার মনেই দাগ কটেছে বলে জেনেছি। এমন সফর ভবিষ্যতেও করতে চাইব আমরা।’ দূতাবাসের সংবাদ ও তথ্য কর্মকর্তা হার্ভি ডব্লু সারনোভিেজর কথা, ‘এই সফরে দু দেশের মানুষ আরও কাছকাছি এল।’
বাফুফে কর্মকর্তা কাজী নাবিল আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম (বাচ্চু) ধন্যবাদ জানান সফর আয়োজকদের।

No comments

Powered by Blogger.