ব্যর্থতা ঘোচাতে চায় অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়া ছাড়ার আগে বলেছিলেন মাইকেল ক্লার্ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজে পৌঁছার পর অধিনায়কের কণ্ঠে সুর মিলিয়ে ডেভিড হাসিও বললেন, অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ব্যর্থতা ঘোচানোর সময় এটাই। এমন বিশ্বাসের পেছনে এই অলরাউন্ডারের বাজি, দলে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টদের আধিক্য।
প্রথম দুই বিশ্বকাপে প্রথাগত খেলোয়াড়দের ওপরই ভরসা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকেরা। তাতে কাজ হয়নি। প্রথমবার তবুও সেমিফাইনালে উঠতে পেরেছিল, গতবার তো বিদায় নিতে হয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই! অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার বিশ্বকাপের দলে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টদের। গত দুই বিশ্বকাপের অধিনায়ক রিকি পন্টিং তো টি-টোয়েন্টিই ছেড়ে দিয়েছেন। দলে নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট হিসেবে নজর কাড়া ডেভিড ওয়ার্নার, ডার্ক ন্যানেসসহ ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি বিগ ব্যাশে ভালো করা দুই অলরাউন্ডার ড্যারিয়েল ক্রিস্টিয়ান ও স্টিভেন স্মিথ এবং উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যান টিম পাইনকে।
প্রায় নতুন চেহারার দলটিই বিশ্বাসের রসদ জোগাচ্ছে হাসিকে, ‘গতবার আমরা সুপার এইটেও যেতে পারিনি, এটা ছিল চরম ব্যর্থতা। এবার সবাই যদি নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারি, তাহলে সুপার এইট তো বটেই, আশা করি আরও বেশি কিছু আমরা করতে পারব। আমি মন থেকে বিশ্বাস করি ফাইনাল খেলার মতো, এমনকি শিরোপা জয়ের মতো দলও এবার আমাদের আছে।’ হাসি ভ্রাতৃদ্বয়ের ছোট ডেভিড নিজেও দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪৪৯ রান তাঁর, উইকেটও আছে ২৯টি।
হাসির মতো একই বিশ্বাস ব্রেট লিরও, তবে এই ফাস্ট বোলারের বাজি দলের ভয়ংকর পেস আক্রমণ, ‘আমাদের দলে চারজন বোলার আছে, যারা ১৫০ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি গতিতে বোলিং করতে পারে, অনেকটা আশির দশকের ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো। পুরো ক্রিকেট-বিশ্বই বলছে, “এই পেস কোয়াট্রেটের দিকে লক্ষ রাখুন।” এমনকি এখানে (ওয়েস্ট ইন্ডিজে) রাস্তায় দাঁড়ালেও লোকে একই কথা বলছে। এই সুবিধা আমরা অবশ্যই কাজে লাগাব।’ নিজের খেলা নিয়ে কিছুটা সংশয় থাকলেও লি আশা করছেন মাঠে নামার, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে বুড়ো আঙুলে চোট লাগায় আট দিনের মতো মাঠের বাইরে থাকতে হবে। তবে আমি এখানে ক্রিকেট খেলতে এসেছি, পানি টানার জন্য নয়।’
গতকালই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা। ২ মে তাদের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে, বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ ৫ মে

No comments

Powered by Blogger.