তিব্বত ও তাইওয়ান প্রশ্নে হস্তক্ষেপ না করতে ফের হুঁশিয়ারি চীনের

তিব্বত ও তাইওয়ান প্রশ্নে হস্তক্ষেপ না করতে বিদেশি শক্তিগুলোকে ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। এ দুটি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানুয়ারিতে তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি-সংক্রান্ত ৬৪০ কোটি ডলারের একটি প্যাকেজ অনুমোদন করে ওয়াশিংটন। এর এক মাস পর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে তিব্বতের নির্বাসিত আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার সঙ্গে বৈঠক করেন। এ দুটি ঘটনা বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা উল্লেখ না করে চীন সরকারের একজন শীর্ষস্থানীয়কর্মকর্তা লি ঝাওজিং বলেন, পশ্চিমা নেতাদের উচিত, দালাই লামার সঙ্গে সাক্ষাতের চেয়ে ভালো কিছু করা।
চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) মুখপাত্র ঝাওজিং গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পশ্চিমা নেতারা তাঁদের কাজ নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত। তারপরও তাঁরা দালাই লামার সঙ্গে দেখা করার সময় পান। তিনি বলেন, দালাই লামা ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব নন, বরং তিনি একজন ‘রাজনৈতিক ভিক্ষু’। কয়েকজন বিদেশি রাজনীতিক দালাই লামাকে ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে। কিন্তু সত্য হলো, তিনি একজন নির্বাসিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
চীনা শাসনের অধীনে তিব্বতের বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের জন্য দীর্ঘদিন থেকে মধ্যস্থতা করে আসছেন দালাই লামা। কিন্তু চীন এ বিষয়টিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। তিব্বতের নির্বাসিত এই আধ্যাত্মিক নেতা ১৯৫৯ সালে ভারতে পালিয়ে যান এবং তখন থেকে সেখানেই নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন।
ঝাওজিং বলেন, দালাই লামা তিব্বতের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না। তিনি বলেন, তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি-সংক্রান্ত বিষয়ে অন্য কোনো দেশের হস্তক্ষেপ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ওয়াশিংটন তাইওয়ানের কাছে ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার, প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র এবং দেশটির এফ-১৬ রণতরীর জন্য যোগাযোগসামগ্রী বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.