মুরালির দুসরায় হাওয়ার্ডের ড্রাইভ

মুত্তিয়া মুরালিধরন বলেছিলেন, জন হাওয়ার্ডের জন্য এটা হবে চ্যালেঞ্জ। ৭০ বছর বয়সী আইসিসির ভাবী সভাপতি মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত। এশিয়াকে আস্থায় আনার কাজ দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার অনেক আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছেন হাওয়ার্ড। এবং সবার আগে মনে হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বোর্ড ভারতকেই বাগে আনতে চান এই ঝানু রাজনীতিবিদ!
টাকার জোরে বিসিসিআই ক্রিকেট বিশ্বের ওপর মাতব্বরি করে, ছড়ি ঘোরায়—ভারতের ক্রিকেট বোর্ডকে এমন একটা সমালোচনা প্রায়ই শুনতে হয়। কিন্তু হাওয়ার্ড বলছেন, এমন সমালোচনা অন্যায়, ‘জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ভারত। ক্রিকেট উন্মাদনার দেশ। এগুলো তো ইতিবাচক দিক। ক্রিকেটে ভারতের অবস্থানকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা ঠিক নয়। আমি সব সময় ভারত আর উপমহাদেশের ওই লাখ লাখ লোকের কথা ভাবি, যারা ক্রিকেট খেলে, ক্রিকেট যাদের কাছে গভীর ভালোবাসার নাম।’
ম্যালকম গ্রের পর দ্বিতীয় অস্ট্রেলীয় হিসেবে ২০১২ সাল থেকে আইসিসি-প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আগে এ বছর জুন থেকে সহসভাপতির দায়িত্ব নেবেন, দু বছর আগেই নির্বাচিত হয়ে থাকা ভারতের শারদ পাওয়ার হবেন সভাপতি। হাওয়ার্ডের মনোনয়ন অবশ্য এখনো আইসিসির নির্বাহী কমিটি অনুমোদন করেনি। কেউ বিরোধিতা করবে বলেও মনে হয় না। কারণ এশিয়ান-ব্লকের চার সদস্যের মধ্যে শ্রীলঙ্কার সঙ্গেই তাঁর সম্পর্ক তিক্ত-মধুর। ২০০৪ সালে মুরালিধরনকে ‘চাকার’ বলায় যে সমস্যার শুরু। হাওয়ার্ড অবশ্য পরে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন। আর পরশু শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) জানিয়ে দিয়েছে, হাওয়ার্ডের মনোনয়নের বিরোধিতা তারা করবে না।
আরেক শক্তিশালী সদস্য ভারতের সঙ্গে হাওয়ার্ডের সম্পর্ক এমনিতেই ভালো। কূটনৈতিক প্রজ্ঞা খাটিয়ে সেটি আরও ঝালিয়ে নিচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমী এই সাবেক রাজনীতিবিদ। ক্রিকেট প্রশাসনে এর আগে কখনোই যুক্ত হননি, তিনি কীভাবে ক্রিকেট বিশ্ব সামলাবেন—এমন সমালোচনার জবাবও অস্ট্রেলিয়ার এবিসি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে দিয়ে রেখেছেন হাওয়ার্ড, ‘ক্রিকেট প্রশাসনে আমি যুক্ত ছিলাম না ঠিকই, কিন্তু মনে রাখবেন, এর চেয়েও কঠিন কাজ আমি সামলেছি।

No comments

Powered by Blogger.