আফতাব-নাঈম দুজনই আছেন একাদশে

এনামুলের চেয়ে এই মুহূর্তে তিনি রাজ্জাকেরই পক্ষে। এটা জানানোর পাশাপাশি জেমি সিডন্স গত পরশু এটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিন পেসারের মধ্যে বাইরে থাকবেন শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম একাদশটা মোটামুটি নিশ্চিতই ছিল। সেই ‘নিশ্চিত’ একাদশেও একটা পরিবর্তন এসেছে—শফিউল নয়, রুবেল হোসেনের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন বল হাতে নেবেন শাহাদাত।
তবে দুই পেসারের কাজটা স্রেফ বলকে একটু পুরোনো করে দেওয়া ছাড়া খুব বেশি থাকবে বলে মনে হয় না, বাংলাদেশের সেরা একাদশে যে চারজন স্পিনার! দুই বাঁহাতি সাকিব-রাজ্জাকের সঙ্গে আছেন মাহমুদউল্লাহ-নাঈম। রকিবুল হাসান হঠাত্ অবসরে গিয়ে আর যা-ই হোক, চট্টগ্রাম টেস্টের সেরা একাদশ বাছাইয়ের কাজটা অনেক সহজ করে দিয়েছেন। নাঈম ও আফতাব আহমেদের একজনকে বেছে নিতে হয়নি, খেলছেন দুজনই। রকিবুলের যেখানে খেলার কথা ছিল, সেই চার নম্বরে ব্যাট করবেন আফতাব। দুই বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে নিউজিল্যান্ডে দুই ইনিংসে ৩৩ ও ৮ রান করা আফতাব আরেকটি সুযোগ পাচ্ছেন ঘরের মাঠে। আর আট নম্বরে নেমে গত তিন টেস্টে এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটি করা মাহমুদউল্লাহ পাচ্ছেন পারফরম্যান্সের পুরস্কার, উঠে আসছেন পাঁচে।
ছয় ব্যাটসম্যান-চার বোলার, নাকি পাঁচ-পাঁচ, দুই স্পিনার নাকি তিন পেসার—প্রথম একাদশটা কীভাবে সাজাবেন এখনো মনস্থির করতে পারছেন না অ্যালিস্টার কুক-অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। সবচেয়ে বড় সমস্যা অবশ্য ইনজুরি, মূল দুই পেসারই ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি প্রস্তুতি ম্যাচে। গ্রাহাম অনিয়নস তো ফিরে যাচ্ছেন দেশেই। স্টুয়ার্ট ব্রডকে অবশ্য আজ পাওয়ার আশা করছেন কুক। কাল নেটে দুদফায় ১০-১২ ওভার বোলিং করেছেন ব্রড, আজ সকালে দেখেই নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। একটা সুখবর অবশ্য ইংল্যান্ডের জন্য আছে, বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের বিপক্ষে দলের অন্যতম ভরসা ভাবা হচ্ছে যাকে, সেই পল কলিংউড খেলছেন। তিন
দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি দলের সহ-অধিনায়ক খেলতে পারেননি ইনজুরির জন্য।
ইংল্যান্ড সবচেয়ে দ্বিধায় আছে অবশ্য দুই স্পিনার খেলানো নিয়ে। গত দেড় বছরে গ্রায়েম সোয়ানের যা পারফরম্যান্স, তাতে দলে তাঁর জায়গা পাকা। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচে ৮ উইকেট নেওয়া জেমস ট্রেডওয়েলকেও আবার উপেক্ষা করা যাচ্ছে না।
ওয়ানডে সিরিজের পর তিন দিনের ম্যাচেও যে ধরনের উইকেটের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়েছে, তাতে দুজন স্পিনার খেলানোকে বেশি যৌক্তিকও মনে হচ্ছে ইংলিশদের কাছে। কিন্তু দুজন পেসার খেলালে কেউ একজন ইনজুরিতে পড়লে কী হবে, এ নিয়ে একটা ভয়ও কাজ করছে তাদের। সে ক্ষেত্রে তিন পেসার, দুই স্পিনার নিয়ে নামবে তারা, ওপেন করবেন জোনাথন ট্রট। আর শেষ পর্যন্ত যদি দুই স্পিনার-দুই পেসার নিয়েই নামে ইংল্যান্ড, তাহলে ট্রেডওয়েলের সঙ্গে অভিষেক হয়ে যাবে মাইকেল কারবেরির।

No comments

Powered by Blogger.