গ্রেগের মুখেও আফ্রিদির কথা

নিজে ধরা খাওয়ার পর কথাটা মুখ ফসকে বলে ফেলেছিলেন শহীদ আফ্রিদি, ‘বিশ্বের সব দলই বল টেম্পারিং করে।’ এবার সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার টনি গ্রেগও প্রকাশ্যেই বললেন, বল টেম্পারিংটা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। বিশ্বের প্রায় সব বোলারই নাকি এর সঙ্গে জড়িত!
‘কেউ কেউ হয়তো নাও মানতে পারে, কিন্তু প্রায় সব বোলারই টেকনিক্যালি বল টেম্পারিংয়ের সঙ্গে জড়িত। বল টেম্পারিংটা ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত রহস্যগুলোর একটি এবং সেটাও প্রায় ৫০ বছর ধরেই’—ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর নিয়মিত একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন সাবেক অলরাউন্ডার গ্রেগ। পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে আফ্রিদির বল কামড়ের ঘটনায় ক্রিকেটের বহু পুরোনো বিতর্কটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। পক্ষে-বিপক্ষে শোনা যাচ্ছে নানা মত। গ্রেগের মতে টেম্পারিংয়ের পদ্ধতিগুলো সবারই জানা, ‘বলের আকার নষ্ট করার জন্য বোতলের ছিপি বা বালির ব্যবহার খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার। সাবেক নিউজিল্যান্ড উইকেটকিপার অ্যাডাম প্যারোরে ১৯৯০ সালের ফয়সালাবাদ টেস্টে বল টেম্পারিং করার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেন। তাঁদের ধারণা, পাকিস্তানি বোলাররা টেম্পারিং করত, তাই তাঁরাও করেছেন। টেম্পারিংয়ের কারণেই ওই টেস্টে ক্রিস প্রিঙ্গল ১১ উইকেট পেয়েছিলেন বলে প্যারোরে বলেছেন।’ ওয়েবসাইট।
এদিকে সরাসরি না বললেও সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল একটু ঘুরিয়ে বল টেম্পারিংয়ের বৈধতা দেওয়ার দাবি করেছেন, ‘বল স্যুইং করানোর জন্য সম্ভব সবকিছুকেই উত্সাহিত করা উচিত।’

No comments

Powered by Blogger.