মেয়ের স্মৃতি মনে আসতেই কেঁদে ফেললেন ব্রাউন

প্রথম সন্তান জেনিফারের মৃত্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন। চাপা স্বভাবের ব্রাউনের আবেগের এই প্রকাশ ঘটেছে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে। টেলিভিশনে একটি সাক্ষাত্কার অনুষ্ঠানে আলাপ করতে গিয়ে ছেলে ফ্রেজারের জীবনকাল নিয়েও মর্মবেদনার কথা প্রকাশ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাঁর স্ত্রী সারাহও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আগামী রোববার ব্রিটেনভিত্তিক আইটিভিতে অনুষ্ঠানটি প্রচার করা হবে।
‘পিয়ার্স মরগানস লাইফ স্টোরিস’ নামের ওই সাক্ষাত্কার অনুষ্ঠান ধারণ করার সময় টেলিভিশন স্টুডিওতে উপস্থিত দর্শকদের সামনেই ব্রাউন দম্পতির আবেগের এই বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকার খবরে বলা হয়, ব্রাউন সাক্ষাত্কারে বলেছেন কীভাবে তিনি প্রথম বুঝতে পারলেন জেনিফার বাঁচবে না।
২০০২ সালে জন্ম নেওয়ার মাত্র ১০ দিনের মাথায় জেনিফারের মৃত্যু হয়। ব্রাউন দম্পতির প্রথম এই সন্তানটির জন্ম হয় অপরিণত অবস্থায়। জন্মের পর ওজন ছিল মাত্র দুই পাউন্ড চার আউন্স। পাশাপাশি তাঁর তিন বছরের ছেলে ফ্রেজারের স্বল্প আয়ু নিয়েও আশঙ্কার কথা বলেন তিনি। ‘সিস্টিক ফাইব্রোসিস’ নামের দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ফ্রেজার।
২০০৬ সালে জন্ম নেওয়ার পাঁচ মাস পর ফ্রেজারের এই রোগ ধরা পড়ে। এর আগে ব্রাউন একজন আশাবাদী বাবা হিসেবে বলেছিলেন, এই অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি আশা করেন ফ্রেজার একজন রাগবি বা ফুটবল খেলোয়াড় হয়ে উঠবে।
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন দর্শকের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, ব্রাউনের কাছ থেকে এ ধরনের মন্তব্য শোনা খুবই আশাব্যঞ্জক। তিনি বলেছেন, কীভাবে জেনিফার তাঁর কোলে মারা গেল। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ছেলের অসুস্থতা নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ কি-না। জবাবে ব্রাউন বলেন, আমরা মাঝেমধ্যে (স্রষ্টার কাছে) জানতে চাই, কেন আমাদের প্রতি এমন আচরণ? তবে আমরা এ নিয়ে কোনো তিক্ত অনুভূতি লালন করতে চাই না।
ওই অনুষ্ঠানে পূর্বসূরি টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন ব্রাউন। এ ছাড়া স্ত্রী সারাহকে কীভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন সেই ঘটনাও বর্ণনা করেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.