জাহরা শাহিদের হত্যাকাণ্ডের খবরে
করাচিতে পিটিআই-সমর্থকদের মাতম
পাকিস্তানে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) একজন জ্যেষ্ঠ নেত্রীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে বন্দরনগর করাচিতে জাহরা শাহিদ হুসেইন নামের ওই নেত্রীকে নিজ বাড়ির সামনে অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা খুন করে। ইমরান খান এ হত্যাকাণ্ডের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টকে (এমকিউএম) দায়ী করেছেন। তবে দলটি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জাহরা শাহিদ হুসেইন পিটিআই দলের সিন্ধু প্রদেশের নারী শাখার জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
পিটিআইয়ের নেতা ইমরান খান এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি এমকিউএমের প্রধান যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আলতাফ হুসেইনকে দায়ী করেছেন। তবে দলটি ইমরানের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পিটিআইয়ের স্থানীয় নেতা ফিরদৌস শামীম এএফপিকে বলেন, জাহরা শাহিদ ব্যক্তিগত কাজে গাড়িতে চড়ে বাড়ির বাইরে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি বাড়ির ফটকের কাছাকাছি আসতেই মোটরসাইকেলে চড়ে আসা তিনজন সশস্ত্র ব্যক্তি তাঁর গতিরোধ করে। জাহরা শাহিদ তাদের ছিনতাইকারী মনে করে হাতব্যাগটি বাড়িয়ে দেন। কিন্তু তারা তা না নিয়ে তাঁকে গুলি করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জাহরাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাসির আফতাব নামের পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, এখনো কেউ এর দায় স্বীকার করেনি। হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। গতকালই করাচিতে জাহরা শাহিদ হুসেইনকে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে হামলার পরপরই ইমরান খান তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে আলতাফ হুসেইনকে দায়ী করে বক্তব্য দেন। আলতাফ ১৯৯১ সাল থেকে লন্ডনে স্বেচ্ছানির্বাসনে রয়েছেন। জাহরা শাহিদ হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত সন্ত্রাস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইমরান। ইমরান তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘আমি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি আলতাফ হুসেইনকে দায়ী করছি। তিনি সরকারি সম্প্রচারযন্ত্রের মাধ্যমে রাখঢাক ছাড়াই পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের হুমকি দিয়েছিলেন।
এমকিউএমের উপ-আহ্বায়ক ফারুক সাত্তার বলেন, ইমরান খানের বক্তব্য দিয়েছেন, তাঁর রাজনৈতিক অপরিপক্বতার পরিচায়ক। তিনি আলতাফ হুসেইনের চরিত্র হননের চেষ্টা করেছেন। এ কারণে তাঁরা মানহানির মামলা করবেন। এমকিউএম ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তও দাবি করেছে।
এদিকে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা গতকাল সিন্ধুর দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর হায়দরাবাদে পিটিআইয়ের নেতা ওসমান কেনেডির বাড়িসহ নগরের বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে।

No comments

Powered by Blogger.