কারখানা, ভবন ও প্রবাসী শ্রমিকদের বিমার তাগিদ

দেশের সব শিল্প-কারখানা, বাণিজ্যিক ভবন এবং বিদেশে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক বিমা করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)।
রাজধানীর একটি ক্লাবে বিআইএ সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে গত শনিবার অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ গুরুত্বারোপ করা হয়। সভায় বিআইএর সদস্য সব বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রতিটি বিমা কোম্পানি দুই লাখ টাকা করে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান দেবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় বিআইএ।
শ্রমিকদের দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর ঝুঁকি ব্যবস্থা আইনে থাকলেও তার বাস্তবায়ন নেই বলে সভায় হতাশা ব্যক্ত করা হয়। বলা হয়, শ্রমিক, মালিক, সরকারি এবং প্রাতিষ্ঠানিক অসচেতনতা ও অনীহাই এ জন্য দায়ী। আবার দেশের অভ্যন্তরে শ্রমিকদের জীবনের ঝুঁকি হ্রাসে আইন করা হয়েছে। কিন্তু প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য কোনো আইন নেই।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কার্যক্রমে সম্প্রতি শৈথিল্য দেখা দিয়েছে বলে সংশয় প্রকাশ করেন বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যানরা। তাঁরা বলেন, বিমা খাতের বিভিন্ন অনিয়ম যেমন ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন, বাকি ব্যবসা ইত্যাদি রোধে ভূমিকা রাখতে হলে আইডিআরএকে আরও শক্তিশালী হতে হবে।
চেয়ারম্যানরা বলেন, সেন্ট্রাল রেটিং কমিটির (সিআরসি) প্রবিধান হওয়ার পরও এর কোনো সভা হয়নি। তাই ট্যারিফ-সংক্রান্ত কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে। আর নতুন লাইসেন্স প্রসঙ্গে বিআইএর মতামত হলো চার থেকে পাঁচটি লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে। তবে কোনোভাবেই নন-লাইফ বিমা কোম্পানি নয়।

No comments

Powered by Blogger.