রাসেলকে ৩ পয়েন্ট এনে দিলেন আব্বাস

দল গোল পাচ্ছিল না। খেলা গড়িয়ে গেছে ৭৪ মিনিটে। এমন সময়ই কর্নার পেল শেখ রাসেল। মোবারকের নেওয়া সেই কর্নারে হেড করে গোল করে এলেন স্টপার আব্বাস ইনুস। এই একমাত্র গোলেই কাল রহমতগঞ্জকে হারিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র।
এই জয়ে ৫ ম্যাচে রাসেলের পয়েন্ট হলো ১৩। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তাদের ওপরে আছে আবাহনী-মোহামেডান। কাগজে-কলমে যেমন তৃতীয় শক্তি, মাঠের লড়াইয়েও এখনো পর্যন্ত তৃতীয় শক্তির মতোই এগোচ্ছে রাসেল। ওদিকে রহমতগঞ্জের অবস্থা বেশ খারাপ। প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর তৃতীয় ম্যাচে এক পয়েন্ট পেয়েছে, কাল আবার পরাজয়ের বৃত্তে বাঁধা পড়ল দলটি।
শেখ রাসেল এদিন যেন নতুন করে লিগ অভিযান শুরু করেছে। আগের ম্যাচের পর কোচ কামাল বাবুকে ছাড়তে হয়েছে চাকরি। বড় লিটন নামে পরিচিত নতুন কোচ মাহমুদুল হকের অধীনে কালই প্রথম খেলল শেখ রাসেল। ২০০৩ সালে জাতীয় দলের সহকারী কোচের দায়িত্বে ছিলেন কিছুদিন, এরপর ইংল্যান্ডে বছর চারেক কাটিয়ে দেশে ফেরা বি-লাইসেন্সধারী এই কোচ সর্বোচ্চ ক্লাব কোচিংয়ে এলেন এই প্রথম।
ম্যাচের পর বললেন, ‘দায়িত্ব নিলেও সবকিছু বুঝে উঠতে আরও একটা ম্যাচ দেখতে হবে। তবে কাজ শুরু করে দিয়েছি এবং আজকের দলটা আমার তত্ত্বাবধানেই মাঠে নেমেছে।’
ওদিকে বিষণ্ন ছিলেন রহমতগঞ্জ কোচ মীর মোহাম্মদ ফারুক। আগের ম্যাচে ভালো খেলেও চট্টগ্রাম মোহামেডানের সঙ্গে ড্র, কাল গোলের সুযোগ পেয়েও গোল না পাওয়া—ভাগ্যকে খানিক দোষ দিতে পারেন রহমতগঞ্জ কোচ। রহমতগঞ্জ গোল শোধ করার সুযোগ পেয়েছিল গোল খাওয়ার দুই মিনিট পরই। কিন্তু ডিফেন্ডার আনিসুলের দারুণ শটটি ক্রসপিচে প্রতিহত। যে কবার বল পোস্টে ছিল, রাসেল গোলরক্ষক মামুন খানের পরীক্ষা তা নিতে পারেনি।
জয়-পরাজয় এক পাশে রাখলে ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। রাসেল গোল পাওয়ার আগ পর্যন্ত সমানতালেই লড়ছিল রহমতগঞ্জ। ১৮ মিনিটে রাসেলের সামির ওমারির শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন মাইকেল দুম্বা। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ঘানাইয়ান ডিফেন্ডার আব্বাসের কাছেই হেরে গেল রহমতগঞ্জ।
আজকের খেলা
ব্রাদার্স-ফরাশগঞ্জ (বিকেল ৩-৪৫ মি., বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডি., কমলাপুর), চট্ট. মোহামেডান-বিয়ানীবাজার (বেলা ৩-৩০ মি., এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম), ফেনী সকার ক্লাব-শুকতারা (বেলা ৩-৩০ মি., ভাষাশহীদ সালাম স্টেডিয়াম, ফেনী)

No comments

Powered by Blogger.