শুরুর আগে দুই দল পাশাপাশিই

দুই দলই সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজ দেশের মাটিতে। তবে ইংল্যান্ডের জন্য স্মৃতিটা যতটা মধুর, দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ততটাই তিক্ত। অস্ট্রেলিয়াতে হারিয়ে আসা অ্যাশেজটা পুনরুদ্ধার করেছিল ইংল্যান্ড। আর অস্ট্রেলিয়াতে সিরিজ জিতে আসার গৌরবটা দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়েছিল নিজ দেশের মাটিতে সিরিজ হেরে। তবে আজ সেঞ্চুরিয়নে চার টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে খেলতে নামার সময় একদিক থেকে দুই দলই দাঁড়িয়ে প্রায় এক জায়গায়—অনেক দিন পর টেস্ট ম্যাচ! অ্যাশেজ শেষ হয়েছে আগস্টে, আর দক্ষিণ আফ্রিকা তো খেলেছে আরও আগে, সেই মার্চে।
এই সফরের কথা মাথায় রাখলে অবশ্য একটু হলেও এগিয়ে রাখতে হবে ইংল্যান্ডকে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১-এ ড্র হয়েছে, তবে বৃষ্টিবিঘ্নিত ওয়ানডে সিরিজটা ২-১-এ জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর দুই দলের টেস্ট সিরিজের রেকর্ডে অবশ্য এগিয়ে স্বাগতিকেরা। সাতটি সিরিজের তিনটি জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, দুটি ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ সিরিজটা জিতেছে গ্রায়েম স্মিথের দল। সিরিজটা ২-০-তে জিতলে সম্প্রতি হারানো আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর জায়গাটি ফিরে পাওয়া যাবে—দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে এই তথ্য।
স্বাগতিকদের জন্য আরেকটি অনুপ্রেরণা হতে পারেন মাখায়া এনটিনি। আজ দলে থাকলে এটা হবে এই ফাস্ট বোলারের ১০০তম টেস্ট। টেস্ট শুরুর আগে দুই দলেরই মূল চিন্তাও একটাই—দল নির্বাচন। জেমস অ্যান্ডারসন ও রায়ান সাইডবটমকে নিয়ে ভাবনায় আছে ইংল্যান্ড। দুজনই মাত্র ফিরেছেন ইনজুরি থেকে, দুজনকে একসঙ্গে নামানোটা তাই হয়ে যেতে পারে ঝুঁকি। অন্যদিকে পাঁজরের ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা জ্যাক ক্যালিসের খেলা অনেকটাই নিশ্চিত, তবে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে। এখনো বোলিং করার মতো অবস্থায় নেই এই অলরাউন্ডার। সে ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকাকে খেলতে হবে চারজন বোলার নিয়েই।

No comments

Powered by Blogger.