সিলেট বিকেএসপি পাচ্ছে বাফুফে

অবশেষে পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে কাজী সালাউদ্দিনের একাডেমি গড়ার স্বপ্ন। ফুটবলের একটা নিজস্ব একাডেমি বানানোর জন্য বেশ কিছু দিন আগে সরকারের কাছ থেকে সিলেট বিকেএসপি চেয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কিন্তু সরকার বিকেএসপির আংশিক বরাদ্দ দিতে চাইলে বাফুফে তাতে রাজি হয়নি। ১৩ ডিসেম্বর সাফ ফুটবল ফাইনালের রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট বিকেএসপির পুরোটাই বাফুফের একাডেমি গড়ার জন্য দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
কাল এক সংবাদ সম্মেলনে খুশির সংবাদটা নিজেই জানালেন বাফুফের সভাপতি সালাউদ্দিন, ‘সিলেট বিকেএসপি আমি আগেও চেয়েছিলাম। কিন্তু এটি নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা ছিল। প্রধানমন্ত্রী সাফ ফুটবলের ফাইনালের রাতে ক্রীড়ামন্ত্রীকে বলে দিয়েছেন, সিলেট বিকেএসপি বাফুফেকে দিয়ে দেওয়ার জন্য।’
একই সঙ্গে একাডেমি চালানোর জন্য আর্থিক নিশ্চয়তাও মিলেছে ফেডারেশনের। একাডেমির স্পনসর হচ্ছে বেক্সিমকো গ্রুপ। এ জন্য বছরে তিন কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। একাডেমিকে ঘিরে বাফুফে আট বছরের একটা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ জন্য মোট ২৪ কোটি টাকা দেবে বেক্সিমকো।
নেদারল্যান্ডের আয়াক্স আমস্টারডাম একাডেমির আদলে একাডেমিটি গড়ার ইচ্ছে সালাউদ্দিনের। এ জন্য খুব শিগগিরই তিনি আমস্টারডামে গিয়ে সেখানকার একাডেমিটা দেখে আসবেন বলে জানিয়েছেন।
সালাউদ্দিন জানালেন, তাঁর স্বপ্নের কথাও—ফুটবলার তৈরির সুতিকাগার হবে এই একাডেমি। এখানে ২-৩টি গ্রুপে ১২ বছর, ১৫ বছর ও ১৭ বছর বয়সী ছেলেরা প্রশিক্ষণ নেবে। কোনো রকম তদবিরের মাধ্যমে এই একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকবে না। তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভা খুঁজে এনে সেখান থেকে ট্রায়ালের মাধ্যমে সেরা খেলোয়াড়দের ভর্তি করানো হবে এই একাডেমিতে। সারা দেশে প্রতিভা অন্বেষণের এই কাজটি করবে বাফুফের কোচদের ৭-৮টি দল। এদের বাইরে অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলকেও এই একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.