ভারতের কষ্টের জয়

ম্যাচের পর ভারতীয় কোচ সুখবিন্দর সিংকে মনে হলো খুব সুখী মানুষ। অনূর্ধ্ব-২৩ বছর বয়সী খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দলটি নিয়েই সাফের বৈতরণী পেরোতে এসেছেন চার বছর পর আবারও জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়া সুখবিন্দর। এই তরুণেরাই তাঁকে প্রথম ম্যাচটা পার করে দিল। দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা যদিও খুব কষ্টে পাওয়া। জে জে লালপেখুলার গোল তাদের দিয়েছে মূল্যবান ৩টি পয়েন্ট।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের গ্যালারিগুলো কাল বলতে গেলে শূন্যই ছিল। দর্শক ছিল হাজারখানেক। তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত নয়, এই দর্শকের চোখ টেনেছে কিন্তু আফগানিস্তানের খেলা।
ম্যাচজুড়ে ভালো খেলা আফগানিস্তানকে দুর্ভাগ্য ছোবল দেয় ম্যাচের ৮৫ মিনিটে। আচমকা এক আক্রমণে বক্সের সামান্য বাইরের জটলায় পাওয়া বলটি কোনাকুনি প্লেসিং শটে জড়িয়ে দেন লালপেখুলা।
প্রথমার্ধে আফগানিস্তানের আক্রমণ ঠেকাতেই তটস্থ থাকতে হয় ভারতকে। যদিও পাল্টা আক্রমণে গোলের সুযোগ পেয়েছিল ভারতও। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে জোয়াকিমের থ্রো থেকে চোংথাম সিংয়ের হেডে গোল হতে পারত। গোলকিপার হামিদুল্লার নৈপুণ্যে সে যাত্রা রক্ষা পায় আফগানিস্তান। দ্বিতীয়ার্ধে আফগানিস্তানও পেয়েছিল দারুণ দুটো সুযোগ। ৫৭ মিনিটে জোহিব ইসলাম ভারতের গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যকে একা পেয়েও উড়িয়ে মারেন বল। এর দুই মিনিট পর হাসমতউল্লাহ বারকেজির হেড কর্নার করে বাঁচান অরিন্দম।
ম্যাচের পর ভারতের কোচ সুখবিন্দর জয়টাকেই দেখলেন বড় করে, ‘নতুন দলের প্রথম ম্যাচ এটি। ৩ পয়েন্ট পেয়েই আমি সন্তুষ্ট।’ আর নিজেদের দুষলেন আফগান কোচ ইউসুফ কারাগার, ‘প্রাপ্ত সুযোগ ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারিনি আমরা।’

No comments

Powered by Blogger.