অতৃপ্তি নিয়ে শেষ ব্রাজিলের

তবে কি আত্মতৃপ্তিতেই ভুগতে শুরু করেছিল ব্রাজিল! নইলে শেষ দুই ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স এমন ছন্নছাড়া কেন হবে? আগের ম্যাচে বলিভিয়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর কাল নিজেদের মাঠে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র। অবশ্য এই দুই ম্যাচের ফলাফলে কিছুই এসে-যায়নি। তিন ম্যাচ হাতে রেখে গত মাসেই বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকেই যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
তবে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ড্র ব্রাজিলের জন্য এক ধরনের অপমানই। এর আগে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১৯টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের ১৯টিই জিতেছে ব্রাজিল। এই দুই দলের লড়াইয়ে ব্রাজিলের পক্ষে ৪-০, ৫-০, ৬-০ স্কোরলাইনও যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
কাল একটা গোলও না পাওয়ায় অবশ্য ভাগ্যকে দুষতে পারে ব্রাজিল। দুই দুইবার বল গিয়ে লেগেছে ক্রসবারে। ৫৮ মিনিটে মিরান্ডাকে হারিয়ে বাকি সময় ব্রাজিলকে খেলতে হয়েছে ১০ জন নিয়ে। দুঙ্গা এ কারণেই এই ড্রকে বড় করে দেখছেন না, ‘একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে খেলার পরও কিন্তু আমরাই প্রাধান্য ধরে রেখেছিলাম। সুযোগও তৈরি করেছিলাম। এই ম্যাচে কেবল একটা জিনিসই আমরা পাইনি—গোল।’ তবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে ঘরের দর্শকদের আনন্দের উপলক্ষ এনে দিতে না পারায় দুঃখ আছে দুঙ্গার, ‘ম্যাচটা জিতলে ভালো হতো। দর্শকদের আমরা বাড়তি কিছু আনন্দ দিতে পারতাম, যারা প্রথমার্ধে আমাদের বাজে খেলার পরও হাততালি দিয়ে উত্সাহ জুগিয়ে গেছে।’
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাও যে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল, এ নিয়ে কৃত্রিম অসন্তোষ প্রকাশ করে দুঙ্গা বলেছেন, ‘কে তার শত্রুকে জীবিত দেখতে চায় বলুন!’
দুঙ্গার মতো লুইস ফ্যাবিয়ানোও সর্বশেষ দুই ম্যাচের বিবর্ণ ব্রাজিলকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন, ‘এই দলটা জিততে পারে, রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে। ব্রাজিল ঠিক পথেই আছে। আমাদের এই একতা ধরে রাখতে হবে।’
তবে ফ্যাবিয়ানোর একটা আফসোস অবশ্য আছে। ঘোষণা দিয়েও বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারেননি। তাঁর চেয়ে একটা বেশি গোল করে সেই কৃতিত্ব চিলির হামবার্তো সুয়াজোর (১০ গোল)।

No comments

Powered by Blogger.