দুটি অর্জনের সামনে অস্ট্রেলিয়া

টিম পেইনের সেঞ্চুরি, মাইক হাসির ফর্মে ফেরা, জেমস হোপসের অলরাউন্ড নৈপুণ্য আর রিকি পন্টিংয়ের অসাধারণ দুটি থ্রো। ফলাফল, ইংল্যান্ডের আরেকটি শোচনীয় পরাজয়। রানের হিসাবে ইংল্যান্ডকে ঘরের মাটিতে তৃতীয় বৃহত্তম পরাজয়ের স্বাদ দিয়ে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গী হলো অস্ট্রেলিয়া। ১১১ রানের এই জয়ে দারুণ দুটি অর্জনের সামনে দাঁড়িয়ে এখন রিকি পন্টিংয়ের দল। চেষ্টার-লি-স্ট্রিটে আগামীকালের ম্যাচটি জিতলে সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করা ইতিহাসের একমাত্র দল হবে অস্ট্রেলিয়া। সেই সঙ্গে এককভাবে উঠে যাবে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।
সিরিজের প্রথম টসটি জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে বড় রানের ভিত গড়ে দিয়েছিল টিম পেইনের সেঞ্চুরি ও মাইক হাসির ফর্মে ফেরা হাফ সেঞ্চুরি। ব্রাড হাডিনের ইনজুরিতে দলে সুযোগ পেয়ে ক্যারিয়ারের সপ্তম ওয়ানডেতেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে গেলেন পেইন। তাসমানিয়ার এই উইকেটকিপারের ১১১ রানের ইনিংসে ছিল ১৪টি চার ও ১টি ছয়। ৪০ রানের মধ্যে শেন ওয়াটসন ও রিকি পন্টিংকে হারানোর পর মাইক হাসিকে (৬৫) নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১৬৩ রানের জুটি গড়েন পেইন। সিরিজে এখনো পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এই ২৪ বছর বয়সীর, কিন্তু হাডিন ফিরলে হয়তো জায়গা ছেড়ে দিতে হবে তাঁকে। পেইন এই বাস্তবতা নিজেও জানেন, ‘ব্রাড ফিরবেই, সে অস্ট্রেলিয়ার সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। কিন্তু আমি প্রমাণ করতে পেরেছি, আমি কাছাকাছিই আছি। সে না ফেরা পর্যন্ত সময়টা আমি এভাবেই উপভোগ করতে চাই।’
অস্ট্রেলিয়াকে ২৯৬ রানে নিয়ে তুলতে বড় অবদান রেখেছেন ক্যামেরন হোয়াইট (২৩ বলে ৩৫) ও জেমস হোপস (২২ বলে ৩৮)। এই দুজনের দুই ‘ক্যামিও ইনিংস’ শেষ ১০ ওভারে ৯০ রান এনে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে। কঠিন লক্ষ্যের পেছনে ছুটে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসকে হারায় ইংল্যান্ড। ৪৫ রানে জো ডেনলিকেও (২৫) হারানো ইংলিশদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন পন্টিং। ইনিংসের ১৪ ও ১৫তম ওভারে সরাসরি থ্রোতে রান আউট করেন রবি বোপারা (২৪) ও ম্যাট প্রিয়রকে (৬)। শেষ পর্যন্ত ৯ ওভার বাকি থাকতেই ১৮৫ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা। তাদের ৮ ব্যাটসম্যান দু অঙ্ক ছুঁলেও সর্বোচ্চ ৩১ রান ৮ নম্বরে নামা টিম ব্রেসনানের। হোপস ৩টি আর ব্রেট লি ও নাথান ব্র্যাকেন ২টি করে উইকেট নেন। সিরিজে সর্বোচ্চ পাঁচ রান সংগ্রহকারীর মাত্র একজন ইংল্যান্ডের (স্ট্রাউস), বোলিংয়ে ওপরের দিকে কেউ নেই।
শীর্ষে ফেরার চেয়ে দলের জয়টাকেই বড় করে দেখছেন পন্টিং, ‘দল হিসেবে এই মুহূর্তে আমরা সব কিছুই ঠিকঠাক করছি। শীর্ষে ওঠাটা দারুণ কিন্তু আমরা কখনোই ওটার জন্য খেলি না।’ অন্যদিকে স্ট্রাউসের মুখে ছিল রাজ্যের হতাশা, “আমাদের ব্যাটিংটা ছিল রীতিমতো ‘হরর শো’। আমার চেয়ে বেশি হতাশ আর কেউ নয়।

No comments

Powered by Blogger.