ফুটবলের দাবিতে জেলায় জেলায় আন্দোলন

মাঠে ফুটবল নেই। লিগ হচ্ছে না নিয়মিত। ফুটবলকে পেশা হিসেবে নেওয়ার আশা দূর অস্ত। ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নটাই এখন ফিকে হতে বসেছে। কিন্তু রাজশাহীর জেট, তপন, জুয়েল, মুরাদ আর সাতক্ষীরার পিন্টু, অরুণ ঘোষদের মতো ফুটবলাররা খেলতে চান। ওই খেলার দাবিতেই তাঁদের এখন আন্দোলনে নামতে হয়েছে। করতে হচ্ছে মানববন্ধন আর মিছিল-মিটিং।
আমাদের রাজশাহী প্রতিনিধি দুলাল আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, ১৪ সেপ্টেম্বর ৩৬ জন ফুটবলার ৫ দফা দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফএ) সভাপতিকে। তাঁদের দাবি, ডিএফএকে প্রথম বিভাগ ও দ্বিতীয় বিভাগ লিগের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। আর্থিক সংকটের দোহাই দিয়ে রাজশাহী ডিএফএর সভাপতি মোসাদ্দেকুল কুদ্দুস বলেন, ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও বাফুফের কাছে টাকা চেয়েছি। তাদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেলে নিয়মিত লিগ আয়োজন করা যাবে। আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মাঠ ও অফিস দেওয়ার জন্য লিখিতভাবে জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে চিঠি দিতে বলা হলেও এখন পর্যন্ত তারা আমাদের কোনো চিঠি দেয়নি।’ লিগ শুরু না হলে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ক্যাম্পে যোগ দেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন অনেক খেলোয়াড়।
সাতক্ষীরা থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জির পাঠানো খবরটাও একই রকম। এক যুগ ধরে কোনো ফুটবল লিগ হয় না সাতক্ষীরায়। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দেড় শতাধিক ফুটবলার তাই লিগের দাবিতে ১৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে তারা জেলা প্রশাসককেও স্মারকলিপি দিয়েছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের কথা, ‘ফুটবল লিগের দায়িত্ব সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের। লিগের জন্য গত ১ জুন স্টেডিয়ামও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তারাই ভালো বলতে পারবে, কবে লিগ শুরু হবে।’ সাতক্ষীরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম নানা অসুবিধার কথা তুলে ধরে বলেছেন, ‘কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও ক্লাবগুলোর অসুবিধার কারণে লিগ শুরু করা যায়নি। আগামী ১ অক্টোবর থেকে উপজেলা টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে। এটা শেষ হলেই ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলাপ করে লিগ শুরু করব।’

No comments

Powered by Blogger.