ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির আরও অভিযোগ
এই সাক্ষাতের খুব বেশি দিন পরের কথা নয়। ট্রাম্পের কাছ থেকে একটি পোস্টকার্ড পান স্টাসি উইলিয়ামস। তার কাছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তার মডেলিং এজেন্সিতে তা ডেলিভারি দেয়া হয়েছে। ওই পোস্টকার্ডটিতে ছিল ফ্লোরিডায় মার-এ-লাগো অবকাশযাপন কেন্দ্রের সামনে পাম বিচের ছবি। পোস্টকার্ডের অন্যপিঠে ট্রাম্প লিখেছিলেন- ‘স্টাসি, ইওর হোম অ্যাওয়ে ফ্রম হোম। লাভ, ডনাল্ড’।
তবে স্টাসি উইলিয়ামসের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনী প্রচারণা শিবির। তারা বলেছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে নির্বাচনে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জুমকলে এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্পের প্রচারণা বিষয়ক মুখপাত্র ক্যারোলাইন লিভিট বলেন, নির্বাচনের দু’সপ্তাহ আগে এসব অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। তিনি আরও বলেন, পোস্টকার্ডে যে হাতের লেখা তা ট্রাম্পের লেখা না।
উইলিয়ামস বলেন, এই ঘটনার এক বছর আগে এপস্টেইনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। ওই সময় তার এজেন্ট তাকে নিউ ইয়র্কে এক নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত হন এপস্টেন। একই বছর প্লাজা হোটেলে ট্রাম্পের আয়োজনে বড়দিনের এক পার্টিতে এপস্টেনকে আরও একবার দেখেন উইলিয়ামস। এসময় তারা তিনজনে একসঙ্গে কথা বলেন। এর আগে একবার ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। উইলিয়ামের ঘনিষ্ঠ একজন সিএনএনকে বলে, এপস্টেনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা উইলিয়াম তাদেরকে বলেছিলেন। সিটি প্রপার্টি রেকর্ড বলছে যে, এপস্টেইনের একজন বিশ্বস্ত সহযোগী ১৯৯২ সালে ফিফথ এভিনিউ থেকে একটি ব্রাউনস্টোন কিনেছেন। উইলিয়ামস বলেন, বড়দিনের পার্টির পরে জুমকলে এপস্টেইন আমাকে বলেন যে, আমার প্রতি তার ভীষণ আগ্রহ। আমরা একে অন্যের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করতে লাগলাম। মাঝে মাঝে আমরা হাঁটতে বের হতাম। এ সময় ঘন ঘন ডনাল্ডের বিষয়ে কথা বলতেন এপস্টেইন। ওই সময় পর্যন্ত এপস্টেইন যে একজন যৌন নিপীড়ক সে সম্পর্কে কেউ জানতোই না। তিনি এমন যদি জানতাম তাহলে তার সঙ্গে এক টেবিলে বসতামই না।
স্টাসি উইলিয়ামস ও এপস্টেইন যখন ট্রাম্প টাওয়ার ছেড়ে আসেন, উইলিয়ামস বলেন, তখন তিনি ছিলেন নীরব। একদিন হাঁটার সময় এপস্টেইন আমাকে স্পর্শ করার সুযোগ ট্রাম্পকে দেয়ার জন্য বাজে কথা শোনান। এরপর আমি ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য লজ্জাবোধ করতে থাকি। সেখানে আমাকে এক দলা মাংসপিণ্ডের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। বহুদিন আমি এটাকে বয়ে বেড়াচ্ছি।
No comments