একদা লাদেনের ঘাঁটি পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে সন্ত্রাসের নতুন কারখানা

ভারত সরকার দ্বারা নিষিদ্ধ তিনটি সন্ত্রাসী সংগঠন  লস্কর-ই-তৈবা, হিজবুল মুজাহিদিন এবং জইশ-ই-মহম্মদ পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে দেশের সেনা ও গোয়েন্দা বাহিনীর  একটি ক্যাম্পাসে যৌথ প্রশিক্ষণ শিবির স্থাপন করেছে। একটি সূত্র এনডিটিভিকে এখবর জানিয়েছে। সূত্রটি জানিয়েছে , ক্যাম্পটি 'সম্পূর্ণ নিরাপদ' কারণ পাশেই একটি পাকিস্তানি আর্মি ক্যাম্প রয়েছে। তাই সেনাবাহিনীর অনুমতি ছাড়া সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণে বহিরাগতদের প্রবেশ প্রায় অসম্ভব। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর  একজন  জেনারেল গোটা  শিবিরের তত্ত্বাবধান করছেন বলে মনে করা হচ্ছে , যেটি অস্ত্র পরিচালনা সহ যুদ্ধের একাধিক বিষয়ে  পুরুষ ও নারীদের  প্রশিক্ষণ দিচ্ছে । অ্যাবোটাবাদে সাবেক  আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন বাস করতেন এবং অপারেশন পরিচালনা করতেন -  প্রাচীর ঘেরা কম্পাউন্ডকে লক্ষ্য করে ২০১১ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বিশেষ ইউনিট হামলা চালায়। বিন লাদেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।

২০১২ সালে পাকিস্তান সেই কাঠামো ভেঙে দেয়। লাদেনের সেই গুপ্তঘাঁটির ধ্বংসাবশেষের উপরেই এই নতুন জঙ্গি শিবিরটি হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। যেখানে একটি বড়সড় জঙ্গি তৈরির কারখানা চলছে। লস্কর, হিজবুল ও জৈশের তিন পান্ডা হাফিজ সৈয়দ, সৈয়দ সালাউদ্দিন এবং মাসুদ আজহার যার নেতৃত্বে রয়েছে। তিনজনেরই নাম রয়েছে এনআইএ-র জঙ্গি দমন বিভাগের খাতায়। নতুন ক্যাম্পটি তিনটি সংগঠনের জন্য একটি নিয়োগ কেন্দ্র বলে অনুমান করা হচ্ছে। কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় বৃহস্পতিবার রাতে একটি সেনা গাড়িতে হামলা সহ গত কয়েকদিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার পর নতুন সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর  খবর সামনে এসেছে। ওই সন্ত্রাসী হামলায় দুই সেনা ও দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং তিনজন আহত হয়। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই এক অভিবাসী শ্রমিককে গুলি করে জখম করা হয়। গান্ডেরওয়ালের জঙ্গি হামলাতেও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে অত্যাধুনিক মার্কিন অস্ত্র নিয়ে দুজন পাকিস্তানি শ্রমিক শিবিরে প্রবেশ করছে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বেসামরিকদের উপর এই হামলাটি সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ নিরপরাধ লোকদের উপর ‘জঘন্য ও কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা জানিয়েছেন’। সেই হামলার একদিন পর, তেহরিক লাবাইক ইয়া মুসলিম নামক একটি নবগঠিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি ডেরা অভিযান চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।

সূত্র : এনডিটিভি

No comments

Powered by Blogger.