ভারতকে এক দিন আগেই জানানো হয়েছিল, শেখ হাসিনার সময় শেষ -বিবিসির প্রতিবেদন
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শেখ হাসিনা যে জনস্রোতে ভেসে যাবেন—প্রকৃতপক্ষে খুব কম লোকই তাঁর এই বিদায় সম্পর্কে অনুমান করতে পেরেছিলেন।
শেষ পর্যন্ত শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কথা না শুনলেও পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের পরামর্শে তিনি পালিয়ে যেতে রাজি হয়েছিলেন। তাঁর ছেলে বিবিসিকে এমন কথা বলেছেন।
শেখ হাসিনা ঠিক সময়েই মনস্থির করেছিলেন। তাঁর পালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জনতা তাঁর বাসভবনে প্রবেশ করেছিল।
রোববার সকালে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান, ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা ও পুলিশ কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছিলেন। বৈঠকের পরিবেশ ছিল গম্ভীর।
দেশজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কারণে প্রধানমন্ত্রীর ওপর কয়েক সপ্তাহ ধরেই চাপ বাড়ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ এই সহিংসতায় কয়েক শ মানুষ নিহত হন।
শুধু রোববার এক দিনে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বিক্ষোভকারী। তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান। তবে জনতার হাতে পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন।
কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিবিসি বাংলা জানতে পেরেছে, শেখ হাসিনা ‘দুটি বিকল্প’ খোলা রাখতে চেয়েছিলেন। যখন তাঁর দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি চলছিল, তখনো তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বল প্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার কথায় রাজি হননি। রোববার দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঠপর্যায়ের সেনা ও সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ ও আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পর জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বুঝতে পেরেছিলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
একাধিক সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, আলাদাভাবে বৈঠকে সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, সেনারা বেসামরিক লোকজনের ওপর গুলি চালাবেন না। তবে তাঁরা পুলিশকে নিরাপত্তা সহায়তা দিতে পারবেন।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। যদিও এ বিষয় পরে প্রকাশ পায়।
অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বিবিসিকে বলেন, ‘পুলিশ ক্লান্ত ছিল। আমরা শুনেছি যে তাদের কাছে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ ছিল না।’
তবে শেখ হাসিনা তা শোনেননি। আর তখন কেউই সামনে বসে তাঁর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতে রাজি ছিলেন না।
বৈঠকের পর শেখ হাসিনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে তাঁর বার্তা দেন। তিনি বিক্ষোভকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেন। তিনি ‘অগ্নিসংযোগকারীদের’ প্রতিরোধের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
নিরাপত্তা বাহিনী আশঙ্কা করেছিল, তাদের হাত ধরে শিগগিরই দেশে গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি আসতে পারে।
রোববারের সহিংসতার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে (ভাইরাল) পড়ছিল। কারণ, মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছিল। পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুব শাখার সদস্যদের গুলিতে আহত তরুণদের ছবি আরও ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছিল।
সংঘর্ষের ভয়াবহতা স্পষ্ট হয়ে উঠলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা ঢাকামুখী গণমিছিলের কর্মসূচি এক দিন এগিয়ে আনার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণায় কর্তৃপক্ষ বিস্মিত হয়ে যায়।
গোয়েন্দা তথ্যে বলা হয়, ছাত্রদের দাবি মানুষকে আকৃষ্ট করছে। পরের দিন হাজারো মানুষ রাজধানীর রাজপথে নামার পরিকল্পনা করছে।
নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করলে আরেকটি রক্তপাত ঘটবে। তাই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যায় তিন বাহিনীর প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা বিনয়ের সঙ্গে ব্যাখ্যা করে বলেন, মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। সোমবার সকালে ঢাকায় হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটতে পারে। তাঁরা তাঁর বাসস্থানের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
শেখ হাসিনা তিন বাহিনীর প্রধানের পরামর্শ গ্রহণ করেননি। তবে ঢাকার সাংবাদিকেরা বলেন, তাঁরা বুঝতে পারছিলেন, ইতিমধ্যে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হচ্ছে। রোববার রাত নাগাদ অনেক জায়গায় পুলিশের উপস্থিতি ছিল না। অসংখ্য নিরাপত্তা ব্যারিকেড ছিল খালি।
অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তিনি (হাসিনা) অনড় ছিলেন। পদত্যাগ বা দেশ ছাড়ার ব্যাপারে তিনি রাজি ছিলেন না। তিন বাহিনীর প্রধান তাঁর কাছে গিয়েছিলেন। তাঁরা তাঁকে মাঠপর্যায়ে কী ঘটছে, সে সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তাঁরা বলেছিলেন, সৈনিকদের পক্ষে জনতার ওপর গুলি চালানো কঠিন হবে। তাঁরা বলেছিলেন, সেনারাও দেশের অংশ। তাঁরা গ্রাম থেকে এসেছেন। তাঁরা নিজেদের লোকদের ওপর গুলি চালাবেন না।
সোমবার সকাল থেকেই ঢাকা অভিমুখে বিপুল জনতার যাত্রা শুরু হয়। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আবার শেখ হাসিনার বাসভবনে গিয়ে তাঁকে পরিস্থিতির গভীরতা ব্যাখ্যা করছিলেন। লোকজন কারফিউ ভঙ্গ করছিল। ইতিমধ্যে সহিংসতা শুরু হয়ে গিয়েছিল।
ঢাকার অনেক জায়গা থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করা হচ্ছিল। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁকে বলেছিলেন, তাঁরা খুব বেশি সময় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জনতার পৌঁছানো ঠেকাতে পারবেন না। সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা বা তার কিছু বেশি সময় তা সম্ভব হতে পারে।
এই পর্যায়ে সামরিক প্রধানেরা শেখ হাসিনাকে বোঝানোর জন্য তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর প্রধানেরা তখন শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি তাঁর বড় বোনকে চলে যেতে রাজি করতে পারেন কি না, সে কথা বলেন তাঁরা।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, কর্মকর্তারা শেখ রেহানার সঙ্গে অন্য একটি কক্ষে আলোচনা করেছিলেন। তাঁরা তাঁকে শেখ হাসিনার কাছে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে বলেছিলেন। শেখ রেহানা তখন তাঁর বড় বোনের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতা ধরে রাখতে অনড় ছিলেন।
তারপর বিদেশে থাকা শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা তাঁকে চলে যেতে বলেন। পারিবারিক এই আলোচনার পুরোটা সময় সেনাপ্রধান উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি বৈবাহিক সূত্রে শেখ হাসিনার আত্মীয়।
সজীব ওয়াজেদ গত মঙ্গলবার বিবিসিকে বলেন, ‘আমার মা মোটেও দেশ ছেড়ে যেতে চাননি। আমাদের তাঁকে রাজি করাতে হয়েছিল।’
সজীব ওয়াজেদ আরও বলেন, তাঁর মা গত শনিবার সন্ধ্যা থেকেই পদত্যাগ করার কথা ভাবতে শুরু করেছিলেন।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমরা পরিবারের সদস্যরা তাঁর কাছে অনুনয় করেছিলাম। আমরা তাঁকে অনুরোধ করে বলেছিলাম, এই জনতা উচ্ছৃঙ্খল, তারা সহিংসতার জন্য বেরিয়েছে, তারা তোমাকে হত্যা করবে। তোমাকে নিরাপদে নিয়ে যাওয়া দরকার আমাদের। সেখানে জনতার পৌঁছাতে যতটা সময় লেগেছিল, তাঁর হাতে ততটাই সময় ছিল। তাঁরা কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই বেরিয়ে যান।’
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘গতকাল আমি তাঁকে (শেখ হাসিনা) দিল্লিতে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি ভালো আছেন। কিন্তু তিনি খুবই হতাশ। বাংলাদেশের জনগণ তাঁকে খুবই নিরাশ করেছে।’
সূত্র জানায়, সোমবার সকালে শেখ হাসিনা নিরাপদ আশ্রয়ের অনুরোধ জানাতে দিল্লিতে ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনের একনিষ্ঠ মিত্র ভারত। ভারতের দিক থেকে তাঁকে দেশ ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
জানা যায়, এক দিন আগে ওয়াশিংটন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বলেছিল, শেখ হাসিনার সময় শেষ। তাঁর সামনে আর কোনো বিকল্প নেই।
অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তিনি যখন বুঝতে পেরেছিলেন, সেনাবাহিনী তাঁকে সমর্থন করছে না, তখনই তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। লোকজন কারফিউ ভাঙতে যাচ্ছিল। তাঁর বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে যেতে ঢাকায় জড়ো হচ্ছিল।
শেখ হাসিনা অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁর পদত্যাগের নথিতে স্বাক্ষর করতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে কীভাবে নিরাপদে দেশ থেকে বের করা যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, শেখ হাসিনা কখন পদত্যাগপত্রে সই করেছেন, কখন সামরিক হেলিকপ্টারে উঠেছেন, তা কেবল স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স, প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট ও সেনা সদরের কিছু ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা জানতেন। পুরো ব্যাপারটা বেশ গোপনে করা হয়েছিল।
স্থানীয় সময় সোমাবার সকাল সাড়ে ১০টায় কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়, যাতে শেখ হাসিনার গতিবিধির কোনো খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে না পড়ে। তিনি চলে যাওয়ার পরেই ইন্টারনেট আবার চালু করা হয়েছিল।
সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা যাতে নিরাপদে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছিল। তার বহরে হামলা হতে পারে, এমন উদ্বেগ ছিল। তাই, পুরো যাত্রাপথটি ফাঁকা করা হয়েছিল। তাঁর প্রস্থানের স্থান (ডিপারচার পয়েন্ট) সুরক্ষিত করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে সড়কপথে নিয়ে যাওয়া নিরাপদ ছিল না। তাই, সড়কপথের পরিবর্তে একটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল।
ছেলে সজীব ওয়াজেদ বলেন, চলে যাওয়ার মুহূর্ত পর্যন্ত শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে উঠতে অনিচ্ছুক ছিলেন।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘তিনি (হাসিনা) চেয়েছিলেন, আমার খালা (রেহানা) চলে যাক। আমার মা হেলিকপ্টারে উঠতে চাননি। আমি ফোন করেছিলাম। আমি আমার মাকে রাজি করাচ্ছিলাম। আমার খালাকে বলেছিলাম, তাঁকে চলে যেতে হবে।’
সজীব ওয়াজেদ বলেন, শেষ পর্যন্ত তাঁরা তা করেন। তাঁরা গণভবন থেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি অপেক্ষমাণ সি-১৩০ হারকিউলিসে ওঠেন।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, তাঁর ধারণা, তাঁরা ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁদের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করা হয়েছিল। আর এই পথ দিয়ে তারা তাঁকে ট্রানজিট দিতে সম্মত হয়েছিলেন।
অন্যান্য বিবরণ বলছে, তাঁকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার একটি বিমানবন্দরে নেওয়া হয়েছিল। তারপর উড়োজাহাজে করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা যে পথেই যাক না কেন, ভারতের স্থানীয় সময় সোমবার বেলা প্রায় ১টা ৩০ মিনিটে হাসিনা, তাঁর বোন রেহানা ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানকে হেলিকপ্টার থেকে উড়োজাহাজে স্থানান্তর করা হয়েছিল। যেটি তাঁদের দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, চার বা পাঁচটি স্যুটকেস অপেক্ষমাণ উড়োজাহাজ বা হেলিকপ্টারে ওঠানোর জন্য রাখা হয়েছিল। তিনি যেসব জিনিস রেখে গেছেন, তার অনেক কিছু তাঁর বাসভবনে হামলা চালিয়ে নিয়ে যায় জনতা। এমনকি এই হামলার সময় তিনি মাঝ–আকাশেই ছিলেন।
কয়েক ঘণ্টা পরে উড়োজাহাজটি দিল্লিতে অবতরণ করে। উড়োজাহাজটির যাত্রীদের গন্তব্য ছিল অস্পষ্ট।
ঢাকায় ইন্টারনেট আবার চালু হয়েছিল। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের সমাপ্তি উপলক্ষে বাংলাদেশজুড়ে উদ্যাপন শুরু হয়েছিল।
একজন নারী, যাঁকে একসময় গণতন্ত্রী হিসেবে দেখা হতো, পরে তিনিই স্বৈরাচারী হিসেবে অনেকের কাছে নিন্দিত হন। ইন্টারনেট বন্ধ রেখে তাঁকে শেষ পর্যন্ত একজন পলাতক ব্যক্তির মতো পালিয়ে যেতে হলো।
No comments