আপসের কথা জানালেন রাকায়েত

নির্মাতা ও ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি গাজী রাকায়েত এক তরুণীকে মেসেঞ্জারে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন- এমন অভিযোগে গত কিছুদিন ধরেই তোলপাড় চলছে। বিষয়টি নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়। তবে অবশেষে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজী রাকায়েত নিজেই। মেসেঞ্জারে প্রস্তাব পাওয়া ওই তরুণী, তার বান্ধবী সংগীতা এবং গাজী রাকায়েতের মাঝে আপস হয়েছে। বিষয়টি মানবজমিনকে জানিয়ে গাজী রাকায়েত বলেন, আমার আইডি কে বা কারা হ্যাক করেছে। এখনো সেটা জানি না। তবে হ্যাক হয়েছে এমনটা প্রমাণ পাওয়ায় ওই মেয়েটি ও তার বান্ধবী সংগীতার সঙ্গে মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারে একটি সমঝোতা হয়েছে।
এই আপসে গাজী রাকায়েত আদাবর থানায় দায়ের করা ৫৭ ধারার মামলা এবং ভুক্তভোগী তরুণীর শ্যামপুর থানায় দায়ের করা পর্নোগ্রাফি আইনের মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। সমপ্রতি এক তরুণী ফেসবুক মেসেঞ্জারে গাজী রাকায়েতের সঙ্গে তার এক বান্ধবীর কথোপকথনের কয়েকটি স্ক্রিনশট প্রকাশ করেন। যেখানে দেখা যায়, গাজী রাকায়েত ওই তরুণীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গত ১৬ই মার্চ রাজধানীর আদাবর থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটি মামলা (নং ১৮) দায়ের করেন গাজী রাকায়েত। এ নিয়ে আরো বেশি আলোচনা-সমালোচনা শুরু হওয়ায় ওই তরুণী গত ২১শে মার্চ শ্যামপুর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে গাজী রাকায়েতের বিরুদ্ধেও মামলা (নং ২৬) দায়ের করেন।
জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হওয়ার পর উভয়পক্ষের শুভাকাঙ্ক্ষীরা সমাধানের জন্য আলোচনা শুরু করেন। পরে গাজী রাকায়েত এবং ওই দুই নারী একসঙ্গে বসে একটি যৌথ ঘোষণার স্ট্যাম্পে সই করেন। গাজী রাকায়েত ঘোষণায় আরো বলেন, ‘আমার অভিযুক্ত ফেসবুক আইডি থেকে আমি কাউকে কোনো অনৈতিক প্রস্তাব পাঠাইনি। কে বা কারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে তা হ্যাক করে আমার সম্মানহানির উদ্দেশ্যে এ ধরনের আপত্তিকর মেসেজ পাঠিয়েছে। এরপরও যেহেতু আমার আইডি থেকেই এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে তার জন্য আমি তরুণীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করছি। তবে মামলা দুটি তদন্তের জন্য এখনো সাইবার ক্রাইম ইউনিটে রয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইউনিটের কোনো কর্মকর্তা মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়টি অবগত হননি বলে জানিয়েছেন সাইবার ক্রাইম ইউনিটের প্রধান আলিমুজ্জামান। তিনি বলেন, আমারা তো মামলা দুটি তদন্ত করে দেখছি। এখনো তাদের দিক থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার কোনো তথ্য পাইনি।

No comments

Powered by Blogger.