প্রশ্নফাঁস হয় পরীক্ষার দিন সকালে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন কোনো প্রশ্নপত্রই পরীক্ষার দুই মাস আগে ফাঁস হয় না। ওই দিন সকালে ফাঁস হয়। বিজি প্রেসে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেখানে প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই। শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে জেএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ কথা বলেন। প্রশ্নপত্র জেলা ও থানায় পৌঁছানো নিরাপদ করা হয়েছে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সকালে যখন শিক্ষকের কাছে প্রশ্ন দেওয়া হয় তখন সমস্যা হয়। অনেক লোক শিক্ষকতায় ঢুকে গেছেন, যারা এটাকে অপব্যবহার করেন।’
অনেক আগে থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হতো বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ১৯৬১ সাল থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে দেখে আসছেন। কিন্তু তখন তা সীমাবদ্ধ ছিল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘এটা নিয়ে আপনারা বহু লিখছেন, আরও লিখবেন, বলবেন, আমরাও বলব। এটা আমি বহুবার বলেছি। এক কথা বারবার বলা। মনে হচ্ছে যেন, আধুনিক একটা পদ্ধতি চালু হয়েছে, জীবনে আর প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। আমি আপনাদের কাছে একদিন বলেছি, আমি একষট্টি সালে মেট্রিক পরীক্ষা দিছি। অনুমান করে দেখেন, তখন থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস দেখে আসতেছি। তখন সীমাবদ্ধ ছিল। সেই সময়ও ফাঁস হতো, বিক্রি হতো। এখন নানা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও অন্যান্য মাধ্যমে দ্রুত প্রসার ও প্রচার হয়ে যায়। যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস নাও হয়, শুধু ফেসবুকে লিখে দিলেই হবে প্রশ্নফাঁস হয়েছে, আর কিছু লাগবে না, ওইটা ধরেই প্রচার হয়ে যাবে।’ সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনও প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

No comments

Powered by Blogger.