দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি শুরু, অবনতি দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে

দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির (কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়ার) উন্নতি হতে শুরু করেছে। অপরদিকে দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চল (মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মুঞ্জিগঞ্জ, শরীয়তপুর) বন্যা পরিস্থিতি অবনতিশীল রয়েছে। সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। গঙ্গা অববাহিকার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া মধ্যাঞ্চলে ঢাকার চতুর্দিকের ৫টি নদীর পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার হতে ১২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সর্বশেষ বন্যা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, দেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাবে। তিস্তা-ধরলা-দুধকুমার অববাহিকায় নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে, এই অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকবে। এছাড়া গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তা বর্তমানে বিপদসীমার প্রায় ৬৭ থেকে ১৩৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মেঘনা অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় উন্নতি অব্যাহত থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে বন্যার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ভারতীয় অংশের আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টায় গড়ে ৩০ সেন্টিমিটার পানি হ্রাস পেতে পারে। বাংলাদেশ অংশের ব্রহ্মপুত্র-যমুনার বিভিন্ন্ পয়েন্টে আগামী ৭২ ঘণ্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকবে, তবে এই নদীর পানি বৃদ্ধির হার আগের তুলনায় কমে আসছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে। মেঘনা অববাহিকার নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘন্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে। এতে বলা হয়, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা এই তিন অববাহিকার মধ্যে গঙ্গা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের উজানের ভারতীয় অংশে এবং মেঘনা অববাহিকার ভারতীয় ও বাংলাদেশ অংশে পানি হ্রাস অব্যাহত আছে। বিগত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর ভারতীয় অংশের গোহাটিতে (বাংলাদেশ সীমান্ত হতে ১৮০ কিলোমিটার উজানে) ৪৩ সেন্টিমিটার পান্ডুতে (বাংলাদেশ সীমান্ত হতে ১৬০ কিলোমিটার উজানে) ৩৪ সেন্টিমিটার, গোয়ালপাড়া (বাংলাদেশ সীমান্ত হতে ৯০ কিলোমিটার উজানে) ২৬ সেন্টিমিটার এবং ধুবরী (বাংলাদেশ সীমান্ত হতে ২৫ কিলোমিটার উজানে) ১৪ সেন্টিমিটার পানি সমতলে হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল নুনখাওয়া, চিলমারী, বাহাদুরাবাদ এবং সারিয়াকান্দি পয়েন্টে হ্রাস পেয়েছে, অপরদিকে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে গতকাল সন্ধ্যা হতে স্থিতিশীল রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বাসস।

No comments

Powered by Blogger.