তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে ঠেকাল ক্ষুদে সহপাঠিরা

ক্ষুদে সহপাঠিদের সাহসী ভূমিকায় বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়েছে তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এক ছাত্রীর। মুন্সিগঞ্জের লোহজং উপজেলার তেউটিয়া ইউনিয়নের বড় নওপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। উত্তর দিঘলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আর শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পায় একই বিদ্যালয়ের  তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী দূর্গা রাজবংশী (১১)।  তার পিতার নাম রামপ্রসাদ রাজবংশী। বুধবার রাতে দূর্গার বিয়ের পিড়িতে বসার কথা ছিলো। আর এই সংবাদটি পেয়েই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় সহপাঠিরা। দুর্গার বিয়ে ঠেকাতে হবে যেকোনো মূল্যে।  তাই তারা বিষয়টি জানান শিক্ষকদের। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক মৃধা বলেন, আমরা জানতে পারি আমাদের এক ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়েছে। এই বাল্য বিয়ে ঠেকাতে আমরা ১২ জন শিক্ষক বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে  দুর্গাদের বাড়িতে যাই। এরপর দুর্গার বাবাকে বিয়ে বন্ধ করতে বলি। এদিকে  বাল্য বিয়ের বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মো. রফিকুল ইসলাম মোল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেনকে জানান। তিনি তৎক্ষণাৎ বাল্য বিয়েটি বন্ধ করতে একজন অফিসারসহ থানা পুলিশ পাঠান ছাত্রীটির বাড়িতে। লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনিচুর রহমান জানান, বড় নওপাড়া গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে দিচ্ছিল গাজীপুর এলাকার এক যুবকের সঙ্গে। আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ছাত্রীটির বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেই।

No comments

Powered by Blogger.