লস্কর-এ-তৈয়বার হিন্দু সদস্য গ্রেফতার

জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তৈয়বার এক হিন্দু সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কাশ্মীরের পুলিশ। সন্দীপ শর্মা নামের ওই ব্যক্তি সংগঠনটিতে আদিল নামে যুক্ত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বেশ কিছু প্রাণঘাতী হামলা, ব্যাংক লুট, নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্র ছিনতাই ও জঙ্গিদের নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেয়ার মতো বেশ কিছু ঘটনায় সন্দীপ জড়িত বলে পুলিশ দাবি করেছে। খবর বিবিসির। লস্কর-এ-তৈয়বার মতো সংগঠনে কোনো হিন্দু ব্যক্তির যুক্ত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বিস্মিত। পুলিশের হাতে গ্রেফতার সন্দীপকে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়। ব্যাপক তদন্ত অভিযানে পুলিশ জানতে পেরেছে, সন্দীপ শর্মা উত্তর প্রদেশের মুজফফরনগরের বাসিন্দা। সে ২০১২ সালে কাশ্মীরে আসে। কাশ্মীর রেঞ্জের পুলিশ মহানির্দেশক মুনির খান বলেছেন, ‘সন্দীপ গ্রাষ্মীকালে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করত আর শীতে পাঞ্জাবের পাতিয়ালায় চলে যেত। পাঞ্জাবে কাজ করার সময়েই কুলগাম জেলার বাসিন্দা শাহিদ আহমেদের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। তারপরে সে দক্ষিণ কাশ্মীরে এসে প্রথমে এটিএম মেশিন থেকে টাকা লুট এবং অন্যান্য অপরাধে শামিল হয়।’ মুনির খান জানান, লস্কর-এ-তৈয়বার কমান্ডার বশির আহমদ ওয়ানি বা বশির লস্করির গোষ্ঠীর সদস্য। এই গোষ্ঠীটিই কিছুদিন আগে দক্ষিণ কাশ্মীরে এক থানার ওসিসহ ৫ পুলিশ কর্মীকে হত্যা করে। পরে গোষ্ঠীটির প্রধান বশির লস্করি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। পুলিশের দাবি, যে বাড়িতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বশির লস্করি নিহত হয়, সন্দীপ শর্মা সেখানেই থাকত। সংঘর্ষের ঠিক আগে সন্দীপসহ ওই বাড়ির অন্যান্য লোকজনকে পুলিশ নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়। যাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। যে বাড়িতে লস্কর-এ-তৈয়বার জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছিল, সে বাড়িতে তারা কী করছিল? এই প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি সন্দীপ। তখনই সন্দেহ হয় পুলিশের।

No comments

Powered by Blogger.