দুই কনস্টেবলের পরিকল্পনাতেই সাভারে দুই তরুণী ধর্ষণ!

‘পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) দুই কনস্টেবলের পরিকল্পনাতেই দুই তরুণীকে সাভারের লিজেন্ড কলেজ ভবনে ডেকে আনা হয়েছিল। ভবনের দ্বিতীয় তলায় দুই তরুণীকে সারা রাত আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।’ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ও ডিবি পুলিশের সোর্স লিটন আলী মণ্ডল এ দাবি করেছেন। পুলিশের একটি অসমর্থিত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। যে দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে লিটন অভিযোগের তীর ছুড়েছেন তারা হলেন- বিশেষ শাখার কনস্টেবল মো. রেজাউল ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কনস্টেবল আফজাল হোসেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাভার মডেল থানা হাজতে লিটন আলী মণ্ডলের কথোপকথন থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়। তবে অভিযুক্ত রেজাউল ও আফজালের মুঠোফোনে কল করা হলে তারা দাবি করেন, তারা এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। চিৎকার ও চেঁচামেচি শুনে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। জানা যায়, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছেন গোয়েন্দা পুলিশের আরও এক কর্মকর্তা। তাদের পরিকল্পনাতেই ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় দুই তরুণীকে সারা রাত আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক (অপারশেন) শহীদ সোহরাওয়ার্দী বুধবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদককে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের জড়িত থাকার কথা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না। এদিকে লিটন আলী মণ্ডলের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম আসামির রিমান্ড মঞ্জুরের ওই আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক শহীদ সোহরাওয়ার্দী আসামিকে আদালতে হাজির করেন। সোহরাওয়ার্দী যুগান্তরকে বলেন, ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে লিটনকে আদালতে পাঠালেও আদালত দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। লিটনের দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যের জড়িত থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে লিটন। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার কথাও জানিয়েছে সে।

No comments

Powered by Blogger.