ইফতার গ্রহণে সতর্কতা

রোজার দিনে পরম আনন্দ ও তৃপ্তিকর বিষয় হল পরিবারের সবাই একসঙ্গে বসে ইফতার গ্রহণ করা। সারাদিন রোজা রেখে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিস্তেজ হয়ে যায়। তাই ইফতারে এমন কিছু খাওয়া বা পান করা উচিত হবে না যাতে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সতেজ হওয়ার পরিবর্তে দুর্বল হয়ে পড়ে।
- ভাজাপোড়া বা ঝলসানো কোনো খাবারই কারও জন্যই স্বাস্থ্যকর নয়। অনেকেই বলে থাকেন সারাদিন রোজা রেখে পেঁয়াজু, ডালবড়া, আলুর চাপ, কাবাব, গ্রিল করা মুরগি না খেলে ভালো লাগে না। সারাদিন উপবাস থেকে এই খাবারগুলো খেলে পেটে গ্যাস হয়, পেট ফুলে ওঠে, টক ঢেঁকুর উঠে, মাথা গরম হয়, বুকে ব্যথা হয়। অতএব বুঝতেই পারছেন, এ খাবারগুলো খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো।
- সাদা পানি, খেজুর বা খোরমা দিয়ে ইফতার শুরু করতে পারেন। ইফতারে ভেজানো নরম চিঁড়া ও কলা, চিঁড়া ও টকদই বা মিষ্টি দই, শসা, ক্ষীরা, তরমুজ, বাঙ্গি ইত্যাদি দিয়ে ইফতার শুরু করা যায়।
- লেবুর শরবতে ইসবগুলের ভুষি দিয়ে খাওয়া যায়। মুড়িতে অল্প তেলে ভাজা সেদ্ধ ছোলা খাওয়া যায়। ডায়াবেটিস না থাকলে গুড় বা চিনির ফিরনি বা ক্ষীর খাওয়া যায়।
- ইফতারের পর নামাজ শেষে শুয়ে পড়া ঠিক নয়। অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটাচলা করা উচিত।
- রাতের খাবারে শাকসবজি, মাছ ও ডাল খাওয়া ভালো, যাদের পেটে আলসার বা ঘা আছে তাদের ইফতারে অবশ্যই এক কাপ টকদই খাওয়া উচিত।
হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক
মর্ডান হারবাল গ্রুপ।
মোবাইল : ০১৯১১৩৮৬৬১৭।

No comments

Powered by Blogger.