ঝালকাঠির ১৭ রুটে দ্বিতীয় দিনেও বাস ধর্মঘট

শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে ও ম্যাজিক গাড়ি বন্ধের দাবিতে ঝালকাঠির অভ্যন্তরীণ ১৭টি রুটে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট চলছে। এর আগে বুধবার বিকাল ৩টা থেকে আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। রমজানের মধ্যে আকস্মিক এ ধর্মঘটে যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ জানান, ঝালকাঠির আঞ্চলিক মহাসড়ক ও অভ্যন্তরীণ সড়কে সম্প্রতি ম্যাজিকগাড়ি চলাচল করছে। এ বাহনের চালকরা বিভিন্ন সময় বাস শ্রমিকদের মারধর করেছে। তারা জানান, ম্যাজিক গাড়ির চালকদের বেপরোয়া সড়কে দাপটের কারণে প্রায়ই বিভিন্ন যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। জানা গেছে, বুধবার দুপুরে যাত্রী ওঠানোকে কেন্দ্র করে কলেজমোড়-বানাড়ীপাড়া রুটে চলাচলকারি ম্যাজিক গাড়ির চালক ও হেলপারদের সঙ্গে শ্রমিকদের বাকবিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে বাস শ্রমিক আবুল কালামকে মারধর করে ম্যাজিকচালকরা। আহত অবস্থায় তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বুধবার দুপুরে বাসটাস্ট্যান্ডে তাদের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঝালকাঠি থেকে বরিশাল, খুলনা, পিরোজপুর ও বরগুনাসহ অভ্যন্তরীণ ১৭টি রুটে বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপরই বিকাল ৩টা থেকে ঝালকাঠির অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে বাস ধর্মঘটের কারণে ওই সব রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকে গন্তব্যে যেতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। অনেককে আবার অনেকটা পথ পায়ে হেটে-বিভিন্ন ছোট বাহনে করে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। ঝালকাঠি আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী বলেন, বাস শ্রমিকদের মারধরের ঘটনায় আমরা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। এ ঘটনার বিচার করতে হবে এবং ম্যাজিক গাড়ি বন্ধ করা না হলে বাস ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রকিব বলেন, ধর্মঘটের খবর শুনে আমরা বাসস্ট্যান্ড এলাকা পরিদর্শন করেছি। বাস শ্রমিক এবং ম্যাজিক গাড়ির শ্রমিকদের দুটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করার পরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.