বাড়ি থেকে যেভাবে উচ্ছেদ হলেন মওদুদ

প্রায় ৪ দশক অবস্থানের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের গুলশানের বাড়িটির দখল নিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। গুলশান এভিনিউর দেড় বিঘা জমির ওপর ১৫৯ নম্বর বাড়ি থেকে মওদুদকে উচ্ছেদের পর সন্ধ্যায় বাড়িটি বুঝে নেয় রাজউক। দুপুর ১২টায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ, জলকামান, প্রিজনভ্যান, সাঁজোয়া যান ও বুলডোজার নিয়ে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, অথরাইজড অফিসার হাজির হন আলোচিত এ বাড়ির সামনে। প্রথম দিকে মওদুদ বাসায় ছিলেন না, খবর পেয়ে ছুটে আসেন। অভিযান শুরুর আগে বাড়ির বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর এ অভিযান সন্ধ্যায় শেষ হয়। বাড়ি থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য রাজউক নিজেই একটি ট্রাক ও তিনটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়। রাজউকের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার অলিউর রহমান ও অথরাইজড অফিসার আদিলুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে বাড়ির মালামাল ট্রাক ও ভ্যানে করে মওদুদ আহমদের দেয়া ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হয়। এদিকে ইফতারের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বাসার সামনে ছুটে যান। তখন মওদুদ তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আইনি লড়াইয়ে হারের পর সাত বছর আগে খালেদা জিয়াকেও তার সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। খবর পেয়ে বেলা ৩টায় বিএনপির এ প্রবীণ নেতা যখন ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন তখন তাকে খুবই বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। দফায় দফায় তিনি রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও অথরাইজড অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন। মওদুদের বাধার মুখে তারা বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা বাড়িটির দখল বুঝে নিচ্ছেন। বাড়ির মালিকানা সংক্রান্ত মামলায় রাজউকের পক্ষে রায় এসেছে। খবর পেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা সেখানে ছুটে যান। অলিউর রহমান পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা রাজউকের সম্পত্তি। দীর্ঘদিন ধরে তারা দখল করে রেখেছিলেন। আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আমরা দখলমুক্ত করছি।’ মওদুদ বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি বলে, বিরোধী দল করি বলেই কি আজকে এ অবস্থা? সরকারি দলের কেউ হলে আজকে এরকম হতো? আজকে বিরোধী দল করি বলেই প্রতিহিংসার এ চরম দৃষ্টান্ত।’
এদিকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ৩শ’ কোটি টাকা মূল্যের এ বাড়িটির মালিকানা নিয়ে নতুন করে মামলা করেছেন। বুধবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি (দেওয়ানি মামলা নং ৫৬১/১৭) করেন। রাজউক ও সরকারের বিরুদ্ধে করা এ মামলায় কেউ যাতে তাকে ডিসটার্ব না করে সে আবেদন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মওদুদ বলেন, আমার যে দখলের স্বত্ব- এতে যেন তারা কোনো বিঘ্ন না করে। তাদের ওপর সমন জারি করা হয়েছে। ১৯ জুলাই শুনানির তারিখ দেয়া  হয়েছে। আদালতের একটি সূত্র যুগান্তরকে জানিয়েছে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এর আগে বাড়িটি তার ইংল্যান্ডপ্রবাসী ভাই মঞ্জুর আহমদের এবং তার পক্ষে তিনি দখলদার বলে দাবি করলেও এবার নিজেই বাড়িটির মালিকানা দাবি করেছেন। নতুন মামলায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ দাবি করেন, অস্ট্রেলীয় নাগরিক ইনজে মারিয়া ১৯৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সাবেক প্রধান বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরীকে আমমোক্তারনামা নিযুক্ত করেন। পরে ১৯৮১ সালের ২৩ মে উক্ত আমমোক্তারনামায় মওদুদ আহমদের বরাবর একটি ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র করেন। তবে এ বাড়ি বাবদ ভাড়া প্রদানের বিষয়ে মামলার কোথাও কিছু উল্লেখ করেননি। কিন্তু ওই বাড়ি পুনর্নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ, ট্যাক্স ও খাজনা বাবদ তিনি আড়াই কোটি টাকা খরচ করেছেন বলে দাবি করেছেন। রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখেন কিভাবে আমার মালামাল তুলে নিচ্ছে। ৩৬ বছর ধরে আমি এ বাড়িতে আছি। এটা প্রতিহিংসার সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত। আদালত তো বলেননি এ বাড়ি থেকে উচ্ছেদের কথা। রাজউকও উচ্ছেদের নোটিশ দেয়নি।
বিরোধী দলের রাজনীতি করি বলেই বাসা থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে জোরপূর্বক, সন্ত্রাসী কায়দায় আমাকে এ বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে।’ এখন কি করবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখন তো রাস্তায় শুয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’ উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন সময়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে সহানুভূতি জানাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও বিএনপির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, এ বাড়ি সংক্রান্ত আইনি ব্যাখ্যা জানি না। এ বাড়িতে মওদুদ সাহেব ছিলেন। তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমি তাকে সহানুভূতি জানাতে এসেছি। এর আগে রোববার এ বাড়ি নিয়ে করা মামলায় আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। ওই আদেশের ফলে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে বাড়িটি ছাড়তেই হবে বলে জানিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গত বছর ২ আগস্ট মওদুদ আহমদের ভাই মনজুর আহমদের নামে বাড়ির নামজারির নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজউকের আপিল গ্রহণ করেন আপিল বিভাগ। ৩ আগস্ট গুলশানের বাড়ির অবৈধ দখলদার বলে মওদুদের বিরুদ্ধে দেয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। এর আগে রাজউকের করা আপিল আবেদন গ্রহণ করে মওদুদ আহমদকে বাড়ির অবৈধ দখলদার বলে রায় দেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। একই সঙ্গে বাড়িটির সঙ্গে সম্পৃক্ত দুদকের করা অন্যান্য দুর্নীতি মামলা বাতিল করেন সর্বোচ্চ আদালত। এক বিঘা ১৩ কাঠা জমির ওপর ওই বাড়ি অবৈধভাবে দখল ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর গুলশান থানায় মওদুদ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদ। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৪ সালের ২৬ মে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দিলে ওই বছর ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক তা আমলে নেন। অভিযোগে বলা হয়, গুলশানের যে বাড়িটিতে মওদুদ আহমদ ও তার পরিবার থাকছেন, তার প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ডিআইটির কাছ থেকে এ বাড়ির মালিকানা এহসান পান। ১৯৬৫ সালে বাড়ির মালিকানার কাগজপত্র এহসানের স্ত্রী অস্ট্রিয়ার নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজের নামে নিবন্ধন করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এহসান স্ত্রীসহ ঢাকা ত্যাগ করেন। তারা আর ফিরে না আসায় ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়। ওই বছরই মওদুদ ওই বাড়ির দখল নেন। এরপর ১৯৭৩ সালের ২ আগস্ট তিনি ইনজে মারিয়া প্লাজের নামে একটি ‘ভুয়া’ আমমোক্তারনামা তৈরি করান এবং নিজেকে তার ভাড়াটিয়া হিসেবে দেখিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। কবি জসীমউদ্দীনের জামাতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মপক্ষ সমর্থন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তাকে বাংলাদেশের প্রথম পোস্ট মাস্টার জেনারেল করা হয়। অবশ্য পরে দেশের প্রথম সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সঙ্গে যোগ দেন মওদুদ। জিয়াউর রহমান তাকে মন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। জিয়ার মৃত্যুর পর মওদুদ সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাত ধরেন। এরশাদের ৯ বছরের শাসনামলে তিনি মন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী এবং উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর মওদুদ বিএনপিতে ফেরেন এবং ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দুদকের মামলায় বলা হয়, জিয়া সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী থাকাকালে মওদুদ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে গুলশানের ওই বাড়ি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকা থেকে বাদ দেয়ার চেষ্টা করেন। এর ধারাবাহিকতায় মাত্র ১০০ টাকা মূল্য দেখিয়ে ১৯৮০ সালে প্লটটি তিনি বরাদ্দ নেন। পরে তিনি একটি বায়নানামা ‘হাজির করেন’, যেখানে দেখানো হয়, ওই বাড়ির মালিক ইনজে মারিয়া প্লাজ জনৈক মহসিন দরবারকে আমমোক্তার বানিয়েছেন এবং সেই মহসিন দরবার ১৯৮৫ সালে বাড়িটি মওদুদের সহোদর মনজুর আহমদের নামে বায়না করে দিয়েছেন। মওদুদ ওই অভিযোগ আমলে নেয়ার আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে গত বছর ২৩ জুন হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে মওদুদ আপিলের আবেদন করলে আপিল বিভাগ তা মঞ্জুর করেন। এ বিষয়ে দুদকের রিভিউ আপিল বিভাগ খারিজ করে দেয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মওদুদ ও তার ভাই।
নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, অস্ট্রীয় নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজ ১৯৮৪ সালের ২৫ জুন বাড়ির বিষয়ে মহসিন দরবার নামের এক ব্যক্তিকে কথিত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (আমমোক্তারনামা) দেন। রাষ্ট্রপক্ষের নথিপত্রে দেখা যায়, ১৯৮৫ সালের ৩০ মার্চ ওই অস্ট্রেলীয় নাগরিক মারা যান। অথচ মামলাকারী পক্ষ (মওদুদের ভাই) তাদের নথিতে দেখায়, বাড়ি নিয়ে ওই বছরের ১০ আগস্ট তাদের মধ্যে বায়নানামা চুক্তি হয়। তবে চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় মামলা করেন মওদুদ আহমদের ভাই। ১৯৯৩ সালের ২৩ জানুয়ারি তৎকালীন সাব-জজ আদালতে মামলাটি খারিজ হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টে প্রথম আপিল করেন মওদুদ আহমদের ভাই, যার ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ে আবেদনকারী পক্ষ ডিক্রি পায়, ফলে সম্পত্তির মালিক হিসেবে ঘোষণা মেলে। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মনজুর আহমেদের নামে আদালতের মাধ্যমে সম্পত্তির দলিল হয়। তবে হাইকোর্টের প্রথম রায়ের বিরুদ্ধে রাজউক ২০০৮ সালে লিভ টু আপিল করে, যা তামাদি হওয়ায় আপিল বিভাগে খারিজ হয়। রাজউক ২০১৪ সালে ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে, যা শুনানির জন্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে আপিল হিসেবে গণ্য হয়। আপিল বিভাগ গত বছর ওই আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন। এর আগে ওই সম্পত্তি মনজুর আহমদের নামে মিউটেশন (নামজারি) করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয় ২০১০ সালে। একই বছরের ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মওদুদ আহমদের ভাইয়ের নামে ওই সম্পত্তি নামজারির নির্দেশ দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাজউক ও সরকারপক্ষ আলাদাভাবে লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৪ সালে শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় সরকার ও রাজউক দুটি নিয়মিত আপিল করে। হাইকোর্টের প্রথম রায়ের বিরুদ্ধে রাজউকের আপিলের সঙ্গে এর শুনানি হয়। ২ আগস্ট সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দেন, রোববার রিভিউ খারিজের মধ্যে দিয়ে সেটাই বহাল থাকল। মওদুদের বাসার সামনে খালেদা জিয়া : বিএনপি নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গুলশানে ছুটে যাওয়ার পর মওদুদ আহমদ তার সঙ্গে কথা বলেন। বাসার মালামাল বিনষ্ট করে সরকারের উচ্ছেদের কাহিনী তুলে ধরেন। বিমর্ষ মওদুদ আহমদ খালেদা জিয়াকে বলেন, কোনো নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। এ সময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.