ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারায় বিবাদীদের নিষ্ক্রীয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গ্রহণ করা বেতন ভাতা লভ্যাংশসহ কেন ফেরত দেওয়া হবে না এবং মানিলন্ডারিং ও বিশ্বাস ভঙ্গ করার জন্য বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না সে মর্মেও রুল জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আদালতের শুনানিতে ছিলেন রিটকারি আইনজীবী গোলাম সারোয়ার পায়েল। তিনি নিজেই জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রারকে উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরে আইনজীবী পায়েল জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের শর্ত অনুযায়ী ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো তারা স্থায়ী কোনো ক্যাম্পাস করতে পারেনি। এমনকি স্থায়ী ক্যাম্পাস করার জন্য ঢাকার মধ্যে এক একর অথবা ঢাকার বাইরে দুই একর জায়গা থাকতে হবে সেটিও তাদের নেই। এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনো ভিসি, কোষাধ্যক্ষও নেই। ফলে একজন ভিসি দিয়েই দীর্ঘদিন ধরে এটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমি আদালতে রিট দায়ের করি। আদালত আমার আবেদন শুনানি নিয়ে এ রুল দেন।

No comments

Powered by Blogger.