বিএনপির সভাস্থলের কাছে ককটেল বিস্ফোরণে শিশু আহত

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় বিএনপির সভাস্থলের অদূরে ককটেল বিস্ফোরণে জিহাদ হোসেন (৯) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে তিনটি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল ৯টার দিকে চান্দিনা ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এই বিদ্যালয়েই কুমিল্লা (উত্তর) জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘটনার পর পুলিশের বাধার কারণে সভায় অংশ নিতে আসা কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন বলে দলীয় সূত্র দাবি করেছে। আহত শিশু জিহাদ উপজেলা সদরের বাবুল মিয়ার ছেলে। তাকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে কুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা (উত্তর) জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভা করতে দলের পক্ষ থেকে চান্দিনা উপজেলা সদরের কয়েকটি ভেন্যুর জন্য আবেদন করা হলেও অনুমতি মিলেনি। সর্বশেষ কুমিল্লা (উত্তর) জেলা বিএনপির সভাপতি খোরশেদ আলমের বাড়িতে বুধবার ওই প্রতিনিধি সভার আয়োজন করা হয়। সকাল ৯টার দিকে খোরশেদ আলমের বাড়ির অদূরে চান্দিনা ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একটি মিষ্টির কার্টুনে রাখা ককটেল বিস্ফোরণ হলে জিহাদ হোসেন (৮) নামের এক শিশু আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আরও ৩টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে।
এসময় সভাস্থল এবং আশপাশের এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপির ওই প্রতিনিধি সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ একাধিক কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখার কথা ছিল। এ বিষয়ে মুঠো ফোনে কুমিল্লা (উত্তর) জেলা বিএনপির সভাপতি খোরশেদ আলম জানান, উপজেলা সদরের কোনো স্থানে সভা করতে না পেরে আমার বাড়িতে সব আয়োজন শেষ করার পর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই ককটেল নাটক সাজিয়ে পুলিশের সহায়তায় সভা পণ্ড করার কাজে লিপ্ত হয়। এছাড়াও সভাস্থলে আসার পথে পথে ছাত্রলীগ কর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্থানে বাধা ও ব্যানার ছিনিয়ে নিয়েছে। চান্দিনা থানার ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বার্থে আজকের প্রতিনিধি সভার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চান্দিনা উপজেলা সদরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.