সিরিয়ায় গাড়িবোমা হামলায় নিহত বেড়ে ১১২

সিরিয়ায় একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২ জনে। এ ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। শনিবার উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের উপকণ্ঠে রাশেদিন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। একটি চুক্তির আওতায় যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তরা সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকা ত্যাগ করছিল। তাদের বহনকারী বাসগুলো সেখানে পার্ক করা ছিল। এসব বাসে কয়েক হাজার মানুষ ছিল। এ অবস্থায় সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর এএফপির সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, বোমা বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যাওয়া কয়েকটি বাস রাস্তার পাশে পড়ে আছে। লোকজন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখছে। বাসের বাইরে হামলায় নিহতদের লাশও পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই ভিডিওতে। শনিবার সকালে বিদ্রোহী অধ্যুষিত ইউলিবের ফোয়া ও কেফ্রায়া থেকে গৃহহীনদের বাসে করে আলেপ্পোতে নেয়া হচ্ছিল। রাজধানীতে ঢোকার আগে রাশেদিন এলাকায় বহর দাঁড়াতেই হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদুর রহমান বলেন, গাড়িতে খাবার আছে দাবি করে হামলাকারী একটি পেট্রুল পাম্পে প্রবেশ করে। এরপর আত্মঘাতী হামলা চালায়। তবে হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি। শিয়া-সুন্নি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের এলাকা ত্যাগের অনুমতি দেয়া হয়।
সিরীয় সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সম্প্রতি ওই চুক্তি করা হয়। সিরিয়ায় রাশিয়ার নতুন বোমার ব্যবহার : সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে রাশিয়া নতুন ধরনের বোমা ফেলেছে বলে আরবি ওয়েবসাইট আল মাসদার নিউজের এক খবরে দাবি করা হয়েছে। খবরে বলা হয়, সিরিয়ার হামা প্রদেশের চারটি শহরে এ বোমা ফেলা হয়। হামলায় রাশিয়ার পাঁচ যুদ্ধবিমান এবং দুই হেলিকপ্টার অংশ নিয়েছিল। হামা প্রদেশের সৌরান, তাইবাত আল ইমাম, হালফইয়া এবং লাতামানিয়া শহরে নতুন ধরনের এ বোমা ফেলা হয়। বোমার বিস্ফোরণে আশপাশের বহু এলাকাজুড়ে মাটি কেঁপে ওঠে। এছাড়া ভিডিও ফুটেজে বিস্ফোরণের পরই আগুন ও ধোঁয়ার বিশাল মেঘকুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। এ বোমা আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানায় আল মাসদার। আফগানিস্তানে আমেরিকা ‘সব বোমার জননী’ (এমওএবি) ফেলার পরই সিরিয়ায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নতুন বোমা ব্যবহারের এ দাবি করা হল। অবশ্য এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি রাশিয়া। আফগানিস্তানে আইএসের ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে এমওএবি ব্যবহারের দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কোনো কোনো মার্কিন সংবাদমাধ্যম মনে করছে, মূলত রাশিয়াকে নিজ শক্তি দেখানোর জন্য এ বোমা ব্যবহার করেছে আমেরিকা। কিন্তু রাশিয়ার কাছে ‘সব বোমার পিতা’ (এফওএবি) বোমা রয়েছে। এটি মার্কিন এমওএবির চেয়ে চারগুণ বেশি শক্তিশালী হওয়ায় মার্কিন এ কৌশল তেমন কার্যকরী হয়নি বলে মনে করছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম।

No comments

Powered by Blogger.