যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘যুদ্ধে প্রস্তুত’ উত্তর কোরিয়া

কোরীয় উপসাগরে মার্কিন রণতরী মোতায়েনের জবাবে উত্তর কোরিয়া বলেছে যে, দেশটি ‘শক্তিশালী সশস্ত্রবাহিনী’ ব্যবহার করে আত্মরক্ষা করবে। সোমবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে প্রস্তুত রয়েছে। ওয়াশিংটনের সামরিক শক্তি ও পরমাণু অস্ত্রে পিয়ংইয়ং ভয় পায় না।’ খবর দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মার্কিন রণতরী মোতায়েন হস্তক্ষেপের বেপরোয়া মনোভাব প্রকাশ করে, যা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক কমান্ড জানায়, কোরীয় অঞ্চলে নিজেদের প্রস্তুতি প্রমাণেই তারা রণতরী মোতায়েন করেছে। এর আগে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হুমকির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র একাই লড়তে প্রস্তুত বলে হুশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিমধ্যে উত্তর কোরিয়ার প্রতি বৈরী অপর দুই দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান জানিয়েছে, আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হলে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেবে তারা। রোববার কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন সেনাবাহিনীর পাঠানো কার্ল ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপ নামের ওই রণতরীতে রয়েছে একটি বিমানবাহী জাহাজসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ।
এটা প্রথমে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছার কথা থাকলেও পরে রাস্তা পরিবর্তন করে সিঙ্গাপুর থেকে প্যাসিফিকের পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রা করে। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে কোনো বিপর্যয় সৃষ্টি হলে আমরা তাদের জবাব দেব। যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো ধরনের যুদ্ধের জবাব দিতে উত্তর কোরিয়া প্রস্তুত।’ এর আগে মার্কিন প্যাসিফিক কমান্ড জানায়, তাদের রণতরীটি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে কোরীয় উপদ্বীপের দিকে যাচ্ছে। পূর্ণ যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়েই সেটি যাচ্ছে বলেও তারা জানায়। প্যাসিফিক কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উত্তর কোরিয়া ক্রমাগত দায়িত্বহীনভাবে পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বাড়ানোর কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবেলার জন্যই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’ এদিকে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তর কোরিয়ার সরকার পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। টিলারসন জানান, পিয়ংইয়ং পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির বিষয়ে যে অবস্থানেই থাকুক না কেন, দেশটির সরকার পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য নয়। টিলারসন বলেন, ‘কেউ যদি অন্য কারও জন্য হুমকিতে পরিণত হয়, তবে তাকে পাল্টা জবাব দেয়াটা জরুরি হয়ে পড়ে।’

No comments

Powered by Blogger.