ভিডিও ফুটেজ দেখে আরও দুজন গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক আবদুল হাকিম নিহত হওয়ার ঘটনায় শাহজাদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গত শুক্রবার রাতে আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাঁদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শাহজাদপুর পৌর এলাকার বাড়াবিল মহল্লার নজরুল ইসলাম (৪৫) এবং প্রান্নাথপুর মহল্লার হজরত আলী (৪৮)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনায় এবং সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের দুই মামলারই সন্দেহভাজন আসামি নজরুল ও হজরত। তাঁরা পালিয়ে ঢাকা চলে যাচ্ছেন—এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে শাহজাদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনার দিন নজরুল ও হজরত শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হকের বাসায় বৈঠক করছিলেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাঁদের শনাক্ত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের সিরাজগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ নিয়ে দুই মামলায় মেয়র হালিমুল এবং তাঁর দুই সহোদর হাবিবুল, হাফিজুলসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। শাহজাদপুরে ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন সমকাল পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি হাকিম। পরদিন ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। মৌন মিছিল, শোকসভা ও মানববন্ধন সাংবাদিক হাকিমের হত্যার ঘটনায় গতকাল মৌন মিছিল ও শোকসভা করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট শাহজাদপুর উপজেলা শাখা। স্থানীয় সরকারি কলেজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শোকসভায় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এ এ শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিবর্তন নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি কাজী শওকত, নজরুল সাংস্কৃতিক পরিষদের পরিচালক বায়েজিদ হোসেন প্রমুখ। গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শহরের চতুরঙ্গ মোড়ে গতকাল বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা। তাঁরা হাকিম হত্যার প্রতিবাদ ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

No comments

Powered by Blogger.