বিশেষ কৌঁসুলি চান ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ক্লিনটন ফাউন্ডেশন নিয়ে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে সমালোচনার তির ছুড়লেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে যেসব ই-মেইল উদ্ধার করেছে, তা থেকে প্রমাণিত হয় যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় হিলারি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকারীরা ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। বিভিন্ন বিদেশি দাতাকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করে তাঁরা ফাউন্ডেশনের জন্য বড় ধরনের অনুদান আদায় করেছেন। দুই পক্ষের সম্পর্ক কতটা গভীর এবং কী ধরনের ‘অপরাধ সংঘটিত’ হয়েছে তা তদন্তের জন্য ট্রাম্প একজন বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগের দাবিও তুলেছেন। সোমবার ওহাইও অঙ্গরাজ্যের একরনে এক সভায় ট্রাম্প ওই দাবি তোলেন। বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ করে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ারও দাবি করেন তিনি।
কেন একজন বিশেষ কৌঁসুলি চাই, তা ব্যাখ্যা করে ট্রাম্প বলেন, হোয়াইট হাউসের ছত্রচ্ছায়ায় মার্কিন বিচার বিভাগ ও এফবিআই হিলারির অপরাধ ঢাকার নানা চেষ্টা করেছে। তারা এই অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত করবে, সে কথা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। সে জন্য দরকার একজন নিরপেক্ষ ‘বিশেষ কৌঁসুলি’। তিনি অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগ হোয়াইট হাউসের একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার ছাড়া আর কিছুই নয়। এফবিআই হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে ইতিপূর্বে অপ্রকাশিত নতুন প্রায় ১৫ হাজার ই-মেইল খুঁজে পেয়েছে। এ কথা জানার পর হিলারি ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য নতুন রসদ পেয়ে যান ট্রাম্প। সোমবার একটি ফেডারেল আদালত বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান জুডিশিয়াল ওয়াচের আবেদনক্রমে এই ই-মেইলগুলো পরীক্ষার পর তা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি বারবার বলে এসেছেন, তিনি সরকারি দায়িত্ব-সম্পর্কিত সব ই-মেইল এফবিআইয়ের কাছে তুলে দিয়েছেন। এই নতুন ই-মেইলগুলো সেই হিসাবের বাইরে হওয়ায় তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নতুন করে প্রশ্নের সম্মুখীন হলো।
ইতিপূর্বে আদালতের নির্দেশে ৭২৫ পাতার যে ই-মেইল প্রকাশ করা হয়, সেসবের অধিকাংশ হিলারির দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী হুমা আবেদিনের কাছে লেখা। অধিকাংশই নানা সাহায্যের অনুরোধ নিয়ে লেখা।  সবচেয়ে বিতর্কিত ই-মেইলটি লেবাননি বংশোদ্ভূত নাইজেরীয় ব্যবসায়ী গিলবার্ট শিগুরির। এতে তিনি লেবাননের বিষয় নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে কথা বলার সুযোগ চেয়ে অনুরোধ করেছেন। শিগুরি ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে বড় ধরনের অনুদান দিয়েছেন, এ রকম ইঙ্গিত করে ফাউন্ডেশনের একজন কর্মকর্তা হুমা আবেদিনকে এই বৈঠক আয়োজনের পক্ষে সুপারিশ করেন। জবাবে আবেদিন লেবাননে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলার আশ্বাস দেন। এসব অভিযোগের জবাবে হিলারি ক্লিনটনের অন্যতম মুখপাত্র জশ শেরিন জানান, মন্ত্রি থাকার সময় বিভিন্ন অনুরোধ পেলেও ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের কোনো অনুদান প্রদানকারীর পক্ষে কোনো ব্যবস্থা হিলারি গ্রহণ করেননি। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনেরও সাংবাদিকদের জানান, অনুদান দেওয়ার জন্য কেউ কোনো সরকারি সুবিধা পেয়েছে, এমন প্রমাণ নেই।

No comments

Powered by Blogger.