জামালকে নিয়েই সেমিতে চট্ট. আবাহনী

বল দখলের লড়াইয়ে শূন্যে উড়ছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর
লিওনেল(আকাশি জার্সি) ও শেখ জামালের ন্যাগি।
দুই দলের লড়াইটা শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও ছিল। ফুটবলারদের দলবদল ঘিরে মৌসুম শুরুর আগেই শেখ জামাল ধানমন্ডি ও চট্টগ্রাম আবাহনীর মধ্যে একটা তীব্র লড়াই চলে আসছে। যাতে জেতার জন্য আদালত পর্যন্ত গেছে শেখ জামাল। মাঠের বাইরের ওই লড়াইয়ের পর আপাতত স্বাধীনতা কাপের ‘যুদ্ধে’ দুই দলের কেউই কাল জেতেনি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শেখ জামালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে সেমিফাইনালে উঠে গেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। ৫ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চারে উঠল শেখ জামাল। ৫ ম্যাচে ৩ জয়, ১ ড্র ও ১ হারে ১০ পয়েন্ট পাওয়া চট্টগ্রাম আবাহনী হয়েছে রানার্সআপ। ড্র করলেই শেষ চার নিশ্চিত—এমন সমীকরণ সামনে রেখে খেলতে নেমে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী। ১৭ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক আশরাফুল রানা পেনাল্টি উপহার দেন জামালকে। বক্সের মধ্যে জামালের ফরোয়ার্ড এমেকা ডার্লিংটনের পা টেনে ধরেন তিনি! এরপরই রেফারি পেনাল্টির বাঁশি দেন, আর পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন এমেকা (১-০)। পিছিয়ে পড়া চট্টগ্রাম আবাহনীকে সমতায় ফিরিয়েছেন অ্যালিসন উদোকা। ৭৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে তারিক আল জানাবির ফ্রি-কিক পোস্টে লেগে ফিরলে ফিরতি বলে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন অ্যালিসন। দুই কার্ডের খাঁড়ায় পড়ে কাল খেলতে পারেননি চট্টগ্রাম আবাহনীর উইঙ্গার জাহিদ হোসেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে বেশ ভুগতে হয়েছে দলটিকে। তবে শেখ জামাল প্রথমে এগিয়ে গিয়েও আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায়। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পেরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ জোসেফ পাভলিক, ‘আজ আমরা দেশের সেরা দলের মুখোমুখি হয়েছিলাম। ড্র করে হলেও শেষ পর্যন্ত সেমিতে উঠেছি বলেই খুশি।’
আজকের খেলা: আবাহনী-শেখ রাসেল
(বিকেল ৫–৩০ মি., বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম)।

No comments

Powered by Blogger.