বৃদ্ধাশ্রমে আবেগাপ্লুত কোহলি

বৃদ্ধাশ্রমের জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের প্রণাম কোহলির
তাঁরা সবাই সমাজের জ্যেষ্ঠ নাগরিক। জীবনের সেরা সময়টাকে তাঁরা একসময় বিলিয়ে দিয়েছেন পরিবারকে, সমাজকে। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন, হারিয়েছেন পরিবার ও সমাজের মনোযোগ। যে বয়সে তাঁদের পরিবারের সবার কাছ থেকে সেবা-ভালোবাসা পাওয়ার কথা, সে বয়সে তাঁদের ঠাঁই হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে। বিরাট কোহলি এই ব্যাপারটা ঠিক মেনে নিতে পারেন না। তাঁর মতে, যাঁরা বয়স্ক মানুষদের বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে আসেন, তাঁরা খুবই ভুল করেন। কোহলি গত বৃহস্পতিবার নিজের উদ্যোগেই গিয়েছিলেন পুনের একটি বৃদ্ধাশ্রমে। ক্রিকেট খেলে এরই মধ্যে অনেক কিছু পেয়েছেন। এখন দেশকে, সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা। ‘অভলমায়া’ নামের সেই বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে কোহলি শ্রদ্ধা জানালেন এমন কিছু মানুষকে, যাঁরা প্রিয়জনের সান্নিধ্য হারিয়ে শেষ বয়সে টিকে আছেন অন্যের দয়া-দাক্ষিণ্যে। কোহলিকে কাছে পেয়ে বৃদ্ধাশ্রমের জ্যেষ্ঠ নাগরিকেরা সবাই আপ্লুত। সেই আবেগ ছুঁয়ে গেল কোহলিকেও। ‘বৃদ্ধাশ্রম’ ধারণাটার ব্যাপারে যে তাঁর মানসিক আপত্তি আছে, সেটাও বললেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান, ‘এই মানুষগুলো একটা সময় সমাজকে অনেক কিছুই দিয়েছেন। বৃদ্ধ বয়সে তাঁদের সেবাযত্ন করাটা আমাদের সবারই পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব। তাঁদের কেন বৃদ্ধাশ্রমে আসতে হবে, এটা আমি বুঝি না!’ অভলমায়ার ৫৭ জন অসহায় বৃদ্ধের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন কোহলি।

No comments

Powered by Blogger.