প্রিন্সের বিদায়ে রঙিন শ্রদ্ধা...

পুরো শহর হঠাৎ হয়ে উঠল রঙিন। লাল আর নীল মিলেমিশে যে রক্ত–বেগুনি রঙের সৃষ্টি করে, সেই রংটিই ছড়িয়ে পড়ল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, নিউ অরলিনস, মিনেসোটাসহ আরও অনেক রাজ্যে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯০তম জন্মদিন উপলক্ষে রঙিন হওয়া নায়াগ্রা জলপ্রপাতও কাকতালীয়ভাবে মিলে গেল সংগীত কিংবদন্তি প্রিন্সের সেই কালজয়ী গান ‘পার্পেল রেইন’–এর সঙ্গে। হ্যাঁ, প্রিন্সের জন্যই তো রঙিন হলো সব। সংগীতজগতের জনপ্রিয় এই তারকা গত বৃহস্পতিবার মারা যান। এর পরপরই তাঁকে স্মরণ করে তাঁর পার্পেল রেইন গানের সঙ্গে মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিখ্যাত স্থাপনা পার্পেল রঙে রাঙানো হয়। ৫৭ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান প্রিন্স। বৃহস্পতিবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার পর নিজের মিনেসোটার বাড়িতে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি। ময়নাতদন্ত শেষ হলেও তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রিন্স বেশ কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর বাড়ি থেকে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে জরুরি ফোন যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে মেডিকেল টিম সেখানে উপস্থিত হয়। কিন্তু ততক্ষণে প্রিন্স বিদায় নিয়েছেন পৃথিবী থেকে। প্রিন্সের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর ভক্তরা এসে জড়ো হতে থাকেন তাঁদের প্রিয় শিল্পীর বাড়ির সামনে। এমনকি লস অ্যাঞ্জেলেস, ব্রুকলিনসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় জড়ো হয়ে ভক্তরা অশ্রু, হাসি, নাচে ও গানে প্রিন্সকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো বাজানো হয় বিভিন্ন স্থানে। প্রিন্সকে শ্রদ্ধা জানাতে এমটিভি ইউএসএ তাদের ওয়েবসাইট ও টুইটার পেজের লোগোর রং বদলে পার্পেল রঙের করে। গার্ডিয়ান, দ্য নিউইয়র্কার, দ্য সান, টাইমস, দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ, ডেইলি মেইলসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় প্রিন্স উঠে আসেন তাঁর পার্পেল রং নিয়ে। মহাকাশ সংস্থা নাসাও একটি পার্পেল নেবুলা উৎসর্গ করে প্রিন্সের উদ্দেশে। ১৯৫৮ সালের ৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন প্রিন্স রজার্স নেলসন। তাঁর প্রথম অ্যালবাম ফর ইউ মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। গ্র্যামি ও অস্কারজয়ী এই সংগীত তারকার ৩০টি অ্যালবামের এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে। ২০১৫ সালে প্রিন্সের শেষ অ্যালবাম হিট রান মুক্তি পায়।

No comments

Powered by Blogger.