‘অবহেলার’র জবাব জুবায়েরের ৬ উইকেটে

জুবায়েরের বিষে নীল হলো কলাবাগান।
সুযোগের জন্য হাপিত্যেশ করছিলেন অনেক দিন থেকেই। গত প্রিমিয়ার লিগে মাত্র এক ম্যাচ খেলিয়েছিল তাঁকে আবাহনী। বিপিএলের সর্বশেষ আসরেও থেকে গেছেন উপেক্ষিত। বাংলাদেশ জাতীয় দলের দরজাও যেন আপাতত বন্ধ তাঁর জন্য। তাঁর বোলিংয়ের ভক্ত কোচ হাথুরুসিংহে। সাকিব আল হাসানও আস্থা রাখতে বলেন এই লেগ স্পিনারের ওপরে। কিন্তু আস্থা নয়, জুবায়ের পেয়েছেন কেবল ‘অবজ্ঞা’। এবারের প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগেই জুবায়ের হোসেন বলেছিলেন, সুযোগ পেলে নিজেকে প্রমাণ করতে চান। আবাহনীর হয়ে প্রথম ম্যাচেই কথা রাখলেন বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনার। ৬ উইকেট নিয়ে বলতে গেলে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন কলাবাগান ক্রীড়াচক্রকে। মাত্র ১৪০ রানে অলআউট হয়েছে মাশরাফির কলাবাগান। জবাবে ৭ উইকেটের বড় জয় দিয়ে শুভসূচনা করেছে আবাহনী। অধিনায়ক তামিম রান আউটের খাঁড়ায় ৭ করে ফিরলেও উদয় কাউলের ৪৪, নাজমুল হোসেনের অপরাজিত ৩৫ ও অভিষেক মিত্রের ৩২ রানে মাত্র ২৮.৩ ওভারেই ​জিতে যায় আবাহনী। ফতুল্লায় আজ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচেই চমক দেখালেন জুবায়ের। ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানেই প্রথম উইকেট হারিয়ে বসে কলাবাগান। ৩৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পুর হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও তাসামুল হক মিলে একটু হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ইনিংস সর্বোচ্চ ৪১ রান করে প্রতিরোধ করা মাসাকাদজাকে বোল্ড করেই শিকার শুরু জুবায়েরের। এর পর সাকলাইন সজীব তাসামুলকে ফিরিয়ে দিলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কলাবাগান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলতে থাকেন জুবায়ের। এত দুর্দান্ত বল করছিলেন, অধিনায়ক তামিম ইকবাল তাঁকে এক স্পেলেই করিয়েছেন পুরো দশ ওভার। অবশ্য ১০ ওভার লাগেনি। ৯ ওভার ১ বলে ৩৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট। মেহরাব জুনিয়রকে ক্যাচ বানিয়ে জুবায়ের এর পর নিয়েছেন দ্বিতীয় উইকেট। নিজের পরের ওভারেই বোল্ড করলেন সাইফকে, টানা তিন ওভারে নিলেন তিন উইকেট। ৯২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কলাবাগান তখন কাঁপছে। এর পর আর কেউই হাল ধরতে পারেননি। বাকি ৫ উইকেটের মধ্যে তাসামুল ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন সাকলাইন। অন্য তিনটি উইকেট নিয়েছেন জুবায়ের। তানভীর হায়দার ও আবদুর রাজ্জাককে আউট করার পর নিহাদুজ্জামানকে ফিরিয়ে দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছেন কলাবাগানের লেজ। ৩৩.১ ওভারেই কলাবাগান অলআউট হয়ে যায় ১৪০ রানে।

No comments

Powered by Blogger.