‘বালিকা বধূ’ প্রত্যুষা মৃত্যুর আগে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন!

প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়
ভারতীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘বালিকা বধূর’ পরিচিত মুখ প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর আগে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মৃত্যুর আগে সম্ভবত তিনি একবার গর্ভপাতও করিয়েছিলেন। জে জে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। আজ মঙ্গলবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জে জে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা প্রত্যুষার অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানিয়েছেন। তদন্ত–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষায় দেখা গেছে, মৃত্যুর মাস খানেক আগে প্রত্যুষা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ভ্রূণটির অপরিণত অবস্থায় মৃত্যু হয়। প্রত্যুষার জরায়ুর কোষ পরীক্ষায় দেখা গেছে, তিনি গর্ভপাত করিয়েছিলেন বা গর্ভপাত হয়েছিল। তবে প্রত্যুষার সেই সন্তানের পিতৃপরিচয় বের করা নিয়ে বেশ কঠিন সময় পার করছে পুলিশ। এখন শুধু ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমেই তা জানা সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। জে জে হাসপাতালের ডিন টিপি লাহানে বলেন, এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রত্যুষার মৃত্যুর পর প্রাথমিক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গলায় ফাঁস লেগে শ্বাসরোধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ওপর কোনো রকমের বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল কি না, সে সংক্রান্ত পরীক্ষা কিছুদিনের মধ্যে কালিনা ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে জানা যাবে। ১ এপ্রিল মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাট থেকে প্রত্যুষার গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ অনুমান করেছিল, প্রত্যুষা আত্মহত্যা করেছেন। পরে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়, শ্বাসরোধে প্রত্যুষার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যুষার আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে তাঁর প্রেমিক অভিনেতা-প্রযোজক রাহুল রাজ সিংকে অভিযুক্ত করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতেই বাঙ্গুর নগর থানার পুলিশ রাহুলকে আটক করে। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে রাহুল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে রাহুল আদালত থেকে শর্ত সাপেক্ষে আগাম জামিন নেন। কলকাতার জামশেদপুরের মেয়ে প্রত্যুষা বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত শেষ সম্প্রচারিত ধারাবাহিক ‘শ্বশুরাল সিমার কি’। রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস ৭’-এ দেখা গেছে তাঁকে।

No comments

Powered by Blogger.