টেনিসে চলছে ‘কঠিন সময়’

যতক্ষণ প্রমাণ না মিলছে, টেনিসকে পরিচ্ছন্ন খেলাই ভাবতে চান জোকোভিচ
মারিয়া শারাপোভার মতো বড় তারকা, টেনিসের সবচেয়ে পরিচিত মুখগুলোর একটি নিষিদ্ধ হয়েছেন নিষিদ্ধ ড্রাগ ব্যবহার করায়। যদিও এই নিষেধাজ্ঞা স্থায়ী নয়, অপরাধটাও নয় গুরুতর। তবে টেনিসের আড়ালে থাকা ক্ষত যেন ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে। ডোপিং আর ম্যাচ পাতানোর ফিসফাস শোনা যায় কান পাতলেই। এ সময়ের টেনিসের এক নম্বর তারকা মনে করেন, স্বচ্ছ ও নিষ্কলুষ খেলা বলে পরিচিত টেনিস পার করছে কঠিন এক সময়। নোভাক জোকোভিচ মনে করেন, টেনিসে ম্যাচ পাতানো ও ডোপ কেলেঙ্কারির যেসব কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে, খেলাটার বিশ্বাসযোগ্যতার বারোটা বাজাতে এতটুকুই যথেষ্ট। অভিযোগগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি তাই জরুরি। তবে নিষ্পত্তির আগে পুরো বিষয়টি নিয়ে যেকোনো উপসংহার টানারও ঘোর বিরোধী তিনি। জোকোভিচ এখনো আশার দিকটাই, আলোর দিকটাই বড় করে দেখতে চান, ‘যতক্ষণ ডোপসংক্রান্ত কোনো প্রমাণ আমি না দেখছি, ততক্ষণ খেলাটিকে পরিচ্ছন্ন হিসাবে মেনে নিতে আমার কোনো আপত্তি নেই।’ গত সোমবার বিশ্ব ক্রীড়ার অত্যন্ত সম্মানজনক পুরস্কার ‘লরিয়াস’ জিতেছেন জোকোভিচ। বছরের সেরা ক্রীড়াবিদ হয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জোকোভিচের চাওয়া একটাই—খুব দ্রুতই যেন টেনিস দুনিয়ার আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়ানো নেতিবাচক কানাঘুষাগুলোর সমাধান করা হয়, সম্প্রতি টেনিস খেলাটা বাজি, জুয়া, পাতানো খেলা, ডোপিং ইত্যাদি অভিযোগে ভারাক্রান্ত। তবে এসবের প্রমাণ বের করার দায়িত্ব বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের। তারা এই অভিযোগগুলোর দ্রুত সমাধান করুক। অভিযোগগুলো সম্বন্ধে প্রমাণ হাজির করুক। কিছুদিন আগেই ব্রিটিশ টেনিস তারকা অ্যান্ডি মারে অভিযোগের সুরে বলেছিলেন, টেনিস নাকি পরিচ্ছন্নতা হারিয়ে ফেলছে। মারের এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন জোকোভিচ, ‘যতক্ষণ কোনো প্রমাণ না পাওয়া যাচ্ছে, আমি খেলাটিকে পরিচ্ছন্ন হিসেবেই ধরে নেব। মারের সঙ্গে আমি এ ব্যাপারে কথা বলেছি। আমি ওর মতামতকে শ্রদ্ধা করি। তবে আমি এসব ব্যাপারে প্রমাণে বিশ্বাসী।’ মারের মন্তব্যটা ছিল অনেকটাই তীক্ষ্ণ। ব্রিটিশ পত্রিকা মেইল অনলাইন তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিল, মারে প্রতিপক্ষ কোনো খেলোয়াড়ের ডোপ-পাপ সন্দেহ করেন কি না। এমন প্রশ্নের জবাবে মারে বেশ কয়েকবার সন্দেহ জাগার কথা জানিয়েছেন। মারের মন্তব্যে জোকোভিচের প্রতিক্রিয়া কূটনৈতিক হলেও ভীষণ খেপেছেন জোকোভিচের কোচ, টেনিসের সাবেক তারকা বরিস বেকার। তিনি বলেছেন, কেউ একজন গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন বলে কিংবা কোনো খেলোয়াড় মারের চেয়ে ফিট বলেই যে তিনি ডোপ নিয়েছেন—এমনটা ভাবা মারের পাগলামি ছাড়া আর কিছুই নয়।

No comments

Powered by Blogger.