কাবুলে তালেবান হামলায় নিহত ২৮

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কেন্দ্রস্থলে তালেবান হামলায় গতকাল মঙ্গলবার অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তিন শর বেশি মানুষ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সেনা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা থাকলেও বেশির ভাগই বেসামরিক লোক। সরকারি নিরাপত্তা গোয়েন্দা বাহিনীকে লক্ষ্য করে এ হামলা করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। বলা হচ্ছে, ২০১১ সালের পর কাবুলে এটিই সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। হামলার পরপরই বিদ্রোহী তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠী এর দায়িত্ব স্বীকার করেছে। এক সপ্তাহ আগেই বসন্তকালীন হামলা শুরু করার ঘোষণা দেয় তালেবান। এ সময় তারা বড় মাত্রার হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। এরপরই খোদ রাজধানীর একেবারে কেন্দ্রে এ হামলার ঘটনা ঘটল। ঘটনাস্থল প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং সেনা কম্পাউন্ডের কাছাকাছি ব্যস্ত পাড়া পুল ই মাহমুদ। এ ঘটনায় সরকারের মন্ত্রী ও ভিআইপিদের সুরক্ষা দেওয়া প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটির প্রতিরক্ষা ব্যূহ ভেঙে পড়ে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পরপরই গোলাগুলির শব্দ শোনেন তাঁরা। পুলিশ জানায়, সকাল নয়টার দিকে সরকারি একটি নিরাপত্তা-বিষয়ক ভবনের কাছে এক আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরকপূর্ণ বাসের বিস্ফোরণ ঘটান। এর পরপরই একদল বন্দুকধারী ওই ভবনটির অত্যন্ত সুরক্ষিত প্রাঙ্গণে হামলা চালায়। তারা পুলিশ ও সেনাসদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়। কিছু সময় পর সরকারি কর্মকর্তারা জানান, বন্দুকযুদ্ধ শেষ হয়েছে। কাবুলের পুলিশপ্রধান আবদুল রহমান রাহিমি বলেন, হতাহতদের মধ্যে বেসামরিক লোক ও আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। পুলিশ আরও জানায়, সকালের ব্যস্ত সময়ে জনাকীর্ণ এলাকায় হামলা হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তিনি প্রচণ্ড ওই বিস্ফোরণের পরে ২০ মিনিট কিছু দেখতে বা শুনতে পাননি। এটি ছিল তাঁর দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরণগুলোর একটি। হামলার খুব অল্প সময় পরই এর দায় স্বীকার করেছে তালেবান। তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এতে সরকারের অনেক ক্ষতি হওয়ারও দাবি করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.