সড়কের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি

রাজবাড়ী শহরের বড়পুল–আনসার ক্যাম্প রাস্তার কাজ শুরু
হয়েছে তিন বছর আগে। বিদ্যুতের খুঁটি না সরানোয় রাস্তাটি
এখন পর্যন্ত চলাচলের উপযোগী হয়নি
রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় রাজবাড়ী শহরের বড়পুল-আনছার ক্যাম্প সড়কের কাজ শেষ হওয়ার পর প্রায় দুই বছর পেরোলেও তা যান চলাচলের উপযোগী হয়নি। এ কারণে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। রাজবাড়ী পৌরসভা সূত্র জানায়, শহরের বড়পুল থেকে আনছার ক্যাম্প মোড় পর্যন্ত ২৭০ মিটার সড়কের কাজ তিন ধাপে সম্পন্ন করা হয়। এটি তৈরি করতে ২ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার ১৩২ টাকা ব্যয় হয়। রাস্তা তৈরির প্রথম ধাপে ২৭০ মিটার লম্বা খাল ভরাট করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে পয়োনিষ্কাশন নালা (ড্রেন) নির্মাণের কাজ করা হয়। ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সুমিত এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে রাস্তা নির্মাণকাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে তা শেষ হয়। কিন্তু রাস্তা থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরানো সম্ভব না হওয়ায় এখন পর্যন্ত রাস্তাটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি। পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত আছি। সম্প্রতি পৌরসভার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি। পৌরসভায় অনেক রাস্তা অপরিকল্পিতভাবে করায় এ ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। রাস্তাটি সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের আটটি খুঁটি রয়েছে। এ কারণে ছোট ছোট যানবাহন কোনোরকমে চলাচল করছে। বৃষ্টিতে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ধসের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটির ফুটপাত দখল করে দোকান ও বাড়ির সীমানাপ্রাচীর তৈরি করা হয়েছে। দোকানের সিঁড়ি দেওয়া হয়েছে ফুটপাত থেকে। রাস্তার নিচে থাকা ম্যানহোলের কমপক্ষে চারটির ঢাকনা খোলা রয়েছে। রাস্তায় আলো না থাকায় সন্ধ্যার পর চলাচল করা যায় না। পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ওজোপাডিকো) রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ সরকার বলেন, ‘বিদ্যুতের খুঁটিগুলো মাঝখানে রেখে রাস্তার কাজ করার সময় খুঁটির বিষয়টি সবার বিবেচনা করা দরকার ছিল। খুঁটিসংক্রান্ত বিষয়ে অনেকবার বৈঠক হয়েছে। বর্তমান পৌর মেয়রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে খুঁটি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মামলা করেছেন।’ মামলার বাদী আজমীর হোসেন বলেন, বিদ্যুতের ওই খুঁটি দিয়ে ৩৩ কিলোভোল্টের লাইন রয়েছে। এটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন লাইন হওয়ায় এর খুঁটি কেউ নিজের জমিতে বসাতে দিতে চান না। খুঁটি সরানোর বিষয়ে আদালত স্থিতাবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন। পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, ইতিমধ্যে কার্যাদেশের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। খুঁটিগুলো রাস্তার মাঝখানে থাকায় রাস্তা নির্মাণের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে সবাইকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা চলছে।

No comments

Powered by Blogger.