৬০ বছর পর ডিএনএ টেস্টেই মিলল আসল বাবা

ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ব্রিটেনের ক্যান্টারবেরি আর্চবিশপের প্রকৃত পিতার খোঁজ মিলল। ৬০ বছর বয়সী আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি এতদিন যাকে জন্মদাতা পিতা হিসেবে জানতেন, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সেটি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ আর্চবিশপের পিতৃপরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার পর জাস্টিন ওয়েলবি ডিএনএ টেস্ট করিয়ে আসল জন্মপরিচয় সম্প্রতি জানতে পারেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ‘গত মাসেই আমি জানলাম, এতদিন ধরে যাকে আমি বাবা ডেকে আসছি, সেই গ্যাভিন ওয়েলবি আমার বাবা নন। আমার আসল বাবা প্রয়াত স্যার অ্যান্টনি মনটেগ ব্রাউন,’ এক বিবৃতিতে এমনটাই বলেন জাস্টিন। এই কথা জেনে নিজে পুরোপুরি ‘হতভম্ব’ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন জাস্টিন, যিনি চার্চ অফ ইংল্যান্ডের নেতা এবং সারাবিশ্বের অ্যাংলিকান খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ নেতা। আর্চবিশপ জাস্টিনের মা লেডি উইলিয়ামস অফ এলভেল স্বীকার করেছেন, গ্যাভিন ওয়েলবির সঙ্গে বিয়ের আগে চার্চিলের সহকারী অ্যান্টনি ব্রাউনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল এবং তারা এক বিছানায়ও গিয়েছিলেন।
১৯৫৫ সালে গ্যাভিন ওয়েলবিকে বিয়ের অল্প কয়েক দিন আগে স্যার অ্যান্টনির সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। তবে এটি মাতাল অবস্থায় হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে নতুন এই তথ্যকে নিজের ওপর ‘অবিশ্বাস্য এক আঘাত’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৫৫ সালে গ্যাভিন ওয়েলবিকে বিয়ে করেন লেডি উইলিয়ামস। তার নয় মাস পর জন্ম হয় জাস্টিনের। ১৯৫৮ সালে গ্যাভিনের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ১৯৭৫ সালে আবার বিয়ে করেন লেডি উইলিয়ামস। গ্যাভিন ১৯৭৭ সালে মারা যান। চার্চিল প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় তার ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন ব্রাউন, প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পরও ১৯৬৫ সালে চার্চিলের মৃত্যু পর্যন্ত তার সঙ্গেই থাকেন ব্রাউন। ২০১৩ সালে ব্রাউনের মৃত্যু হয়। ঠিক ওই বছরই ক্যান্টারবেরির বিশপ হিসেবে অভিষিক্ত হন জাস্টিন। ক্যামব্রিজে পড়াশোনা করা জাস্টিন তেল কোম্পানিতে বড় চাকরি করতেন। ১৯৮৩ সালে সাত বছর বয়সী মেয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে সব ছেড়ে ধর্ম-কর্মে মন দেন তিনি। তার তিন বছর পর প্রাইস্ট হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয়।

No comments

Powered by Blogger.