বাম ও ইসলামপন্থীরা এক কাতারে দাঁড়াবে! by মাসুদ মজুমদার

মুসলিম কমরেড যেমন আছে, তেমনি হিন্দু কমরেডও রয়েছে। সাম্যবাদী হয়েও ধর্মীয় পরিচয় ঘুচানো যায়নি। এ উপমহাদেশের রাজনীতিতে ধর্মীয় পরিচয় সব সময় প্রাধান্য পেয়েছে। প্রগতিশীল হলেও ধর্মাচার ভুলে যাওয়ার কোনো প্রেরণা এ উপমহাদেশের রাজনীতিতে নেই। তবে অসাম্প্রদায়িক থাকার একটা উপমা কেউ কেউ সৃষ্টি করেছেন। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে- সাম্যবাদী কমরেডরা রাতারাতি পুঁজিবাদের খপ্পরে পড়ে যাচ্ছেন। সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের পদচুম্বন করে কৃতার্থ হচ্ছেন। তত্ত্বীয় বাম রাজনীতি যতটুকু বুঝেছি, তার সাথে ইসলামের সাম্যবাদী চিন্তার মেলবন্ধন সম্ভব। অর্থনৈতিক সাম্য, সামাজিক সুবিচার, নৈতিক অবস্থান ও ইনসাফের বিবেচনায় সাম্যবাদ ও ইসলাম কাছাকাছি। অনেকেই বলেন, আধ্যাত্মিক চিন্তার বাইরে জাগতিক ধারণায় যতটা মানবিক হওয়া সম্ভব তা শুধু ইসলাম ও সাম্যবাদেই রয়েছে। তাহলে এ দুই পন্থীরা কমন ইস্যুতে এক জায়গায় দাঁড়ায় না কেন?
ইরানি বিপ্লবের তত্ত্বীয় ধারণায় ডক্টর আলী শরিয়তির একটা অবস্থান ছিল বলে মনে করা হয়। তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। একসময় ছিলেন বাম রাজনীতির তুখোড় প্রবক্তা। ধীরে ধীরে তার চিন্তার রূপান্তর ঘটে। যখন বাম রাজনীতির সাথে নিজেকে তত্ত্বীয়ভাবে জড়িয়ে ফেলেন, তখন তার ভাবনার প্রথম বিষয় ছিল মানুষের মুক্তি, কল্যাণ ও সামাজিক ইনসাফ প্রতিষ্ঠার আকুতি। মার্কসবাদের একটি ব্যবস্থাপত্র তাকে আকর্ষণ করেছিল। পরবর্তীকালে তার ধারণা পাল্টাতে থাকে। সাম্যবাদের তত্ত্বীয় ধারণাও প্রায়োগিক ব্যবস্থাপত্রের মধ্যে তিনি কিছু বৈসাদৃশ্য ও জটিলতা অনুভব করতে থাকেন। সে সময় তিনি ইসলামের প্রায়োগিক অঙ্গীকার, সামাজিক সুবিচার, ইরানি সমাজ ও মানুষ নিয়েও ভাবতেন। সমাজে প্রভাবক শ্রেণী কারা- কারাই বা জনগণের অঘোষিত নেতার আসনে বসে আছেন, সেটা খুঁজে পেতে চাইলেন; একসময় পেলেনও। ইসলামের রাজনৈতিক রূপ ও অর্থব্যবস্থা তাকে সাম্যবাদের চেয়ে বেশি আকৃষ্ট করল।
আলী শরিয়তির ‘মজলুম’ নামের একটি চটি বই পড়ে তার চিন্তার সাথে পরিচিতি ঘটে। বুঝলাম, তিনি মানুষ ও মানবতার মুক্তি চান। পিরামিডের প্রতিটি পাথরের মধ্যে মানুষ নামের দাসদের রক্ত ও ঘামের গন্ধ তিনি পেয়েছেন। ফেরাউনদের অত্যাচারের ক্ষতচিহ্নহ্ন তিনি হৃদয় দিয়ে স্পর্শ করতে চেয়েছেন। তাই শ্রমশোষণ ও পুঁজির দাসত্ব থেকে মানুষকে রক্ষা করতে চান। রেজা শাহের বাদশাহী বা রাজতন্ত্র নিয়ে তার কোনো নগদ আগ্রহ ছিল না। তবে বুঝতেন শাহ একনায়ক ও শোষক। একই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বরকন্দাজ। তিনিও জানতেন তাসের রাজা ছাড়া একসময় আর কোনো রাজা হয়তো থাকবে না। কিন্তু অন্য যেকোনো তন্ত্রের ছিদ্র দিয়ে শাসকেরা রাজা হয়ে উঠবেন। যেমন নির্বাচিত স্বৈরাচার শব্দটি এখন আর অপরিচিত নয়। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে একনায়ক সেজে যাওয়ার উপমাও অনেক। ধারণা ছিল, আদি দাসপ্রথাও থাকবে না। কিন্তু মানুষের মানসিক দাসত্বের ঘোর কাটবে না। রূপান্তরিত দাসপ্রথাও ঘুরেফিরে থেকে যাবে। তিনি বুঝতেন মানুষ স্বভাবত কর্তৃত্ববাদী, আনুগত্যপরায়ণ ও দ্রোহচিন্তার মতো পরস্পরবিরোধী বৈশিষ্ট্য লালন করে।
আন্তর্জাতিকতাবাদে বিশ্বাসী ডক্টর শরিয়তি জাতিরাষ্ট্রের ধারণা অস্বীকার করতেন না। তবে মানবতার মুক্তির জন্য এটাকে কোনো সমাধান মনে করতেও দ্বিধান্বিত ছিলেন। এ ধরনের একটি বিশ্বাসের জায়গায় দাঁড়িয়ে ইরানি সমাজ ও আর্যাবর্তের মানুষ সম্পর্কে তিনি অনুসন্ধিৎসু হলেন। তিনি দেখলেন, পারস্য জাতীয়তাবাদের মন্ত্রমুগ্ধরা এক ধরনের জাতীয়তাবাদী অহংবোধ লালন করেন। প্রগতিশীল ও আধুনিকমনস্ক হয়েও তারা ‘মারজাহ’ নামে একটি প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় চর্চাকেন্দ্রের সাথে জড়িত। এর মাধ্যমে ইরানি জাতি ধর্ম ও রাজনীতি আলাদা করে দেখার ভড়ং করে না, বরং ধর্মাচার ও লোকজ সংস্কৃতি চর্চাকে তারা জাতীয় সংস্কৃতির স্তরে উন্নীত করে নিয়েছে। তাই একজন বরেণ্য আলেমের সান্নিধ্য ও নির্দেশনা মেনেই তারা রাষ্ট্রাচারের সাথে মিলেমিশে থাকে। বিপ্লব ধর্মকে আরো কার্যকরভাবে সামনে এনে দেয়- রাজনীতি ধরন পাল্টায়। কিছু গুণগত পরিবর্তন এনে দেয়।
ইরানের জনগণের বিপ্লবী চৈতন্যের ভ্রুণটি জন্ম নেয় ইসলামের সূচনাপর্বে। সামাজিক শক্তি হিসেবে ধর্মীয় নেতাদের উপস্থিতিও ঐতিহ্য লালিত। আমাদের সমাজে সামাজিক শক্তি হিসেবে ধর্মীয় নেতারা সে তুলনায় অনগ্রসর। ঔপনিবেশিক শাসন এর একটি মৌলিক কারণ। তা ছাড়া পারস্যবাসীর আত্মস্থ করার ক্ষমতাও বেশি।
জার্মান প্রবাদ হচ্ছে- যৌবনে সাম্যবাদে দীক্ষা নেয়া তারুণ্যের ধর্ম। চল্লিশোর্ধ্ব বয়সে ধর্মে অনুরাগ বয়সের ধর্ম। আমরাও তরুণ থাকতে মার্কসবাদ-মাওবাদের স্বাপ্নিক জীবনঘনিষ্ঠতার ভেতর সর্বহারা শ্রেণীর মুক্তির প্রহর গুনতাম। ধর্মের লাগাম ছিঁড়ে সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করার মধ্যে বস্তুবাদের মোহনীয় গন্ধ শুঁকে দেখতাম। বয়স বাড়ার পর তুলনামূলক অধ্যয়নের কিছুটা সুযোগ ঘটে। তখন আলী শরিয়তির মতো চিন্তার ভ্রুণটিকে বিকশিত হতে দেখে টের পেলাম মানুষ ও মানবতার মুক্তি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভেবেছেন নবী-রাসূলরাই। তাঁরাই বেশি ভেবেছেন ন্যায়নীতি ও ইনসাফ নিয়ে। ওল্ড ও নিউ টেস্টামেন্ট এবং কুরআন এর সাক্ষ্য বহন করে। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর খানিকটা চোখ বুলিয়ে মনে হলো, ধর্মগুলোর মিল অনেক বেশি। সৃষ্টিরহস্য ও মানুষ নিয়ে সামগ্রিক ভাবনা ধর্মের ভেতর বেশি জায়গা পেয়েছে। ওল্ড ও নিউ টেস্টামেন্টের মধ্যে বিকৃতি-বিচ্যুতির পরও সাযুজ্য এক উল্লেখযোগ্য বিষয়। বেদ যখন বলে সৃষ্টিকর্তা ওঁঙ্কার দিয়ে আসমান-জমিনের সব কিছুর অস্তিত্ব দিয়েদিলেন। তখন সব ক’টি আসমানি কিতাবের মূল সুর ‘কুন’ বলেই বিধাতা ‘হও’ বলেন, অমনি সব হয়ে যায়- এ ধারণার আশ্চর্য মিল খুঁজে পেলাম। আদম-হাওয়া থেকে আদালতে আখেরাতসহ মৃত্যুভাবনা ধর্মীয় চিন্তার বাইরে কিছুই নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞান এখনো জন্ম-মৃত্যুর চূড়ান্ত সংজ্ঞা নিরূপণ করতে পারেনি। অথচ ধর্মচিন্তায় এর সহজ-সরল ব্যাখ্যা সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দেয়।
এ বক্তব্যে বিশ্বাসীদের নিজ নিজ বিশ্বাস পাল্টানোর কোনো তাগিদ নেই। একটি উপমা হিসেবে শুধু বলা যায়, সব ধর্মের ধার্মিক মানুষ সত্য-মিথ্যার একটি মানদণ্ড লালন করেন। ভালো-মন্দের ফারাক বুঝতে চান। স্বর্গ-নরকে বিশ্বাস রাখেন। শয়তান বা প্রবঞ্চকের ধারণা বোঝেন। একজন সৃষ্টিকর্তার একক সার্বভৌমত্ব মানেন। তবে কেউ কেউ স্রষ্টার কাছে পৌঁছার লক্ষ্যে মাধ্যম ধরে অগ্রসর হওয়ার মতো একটি ধারণা পোষণ করেন। এ ধারণাও আবার সর্বজনীন নয়। একেশ্বরবাদী ব্রাহ্মচিন্তার সাথে মূর্তিবাদীর সাদৃশ্য কমই দেখতে পাই। ত্রিত্ববাদের সাথে একমত নয়, এমন খ্রিষ্টানকেও জানি।
প্রসঙ্গটি টেনেছি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসলামিস্ট ও লেফটিস্টদের মধ্যে যোজন যোজন দূরত্বের বিষয়টির ওপর খানিকটা আলোকপাতের জন্য। আলী শরিয়তির প্রসঙ্গ টানার কারণও অভিন্ন। প্রসঙ্গে প্রশ্নটা তুলতে চাই- জালেমের বিরুদ্ধে যারা মজলুমের বিজয় কামনা করেন, তারা এককাতারে দাঁড়াতে পারেন না কেন? বামরা মন্দের ভালো বাছাই করার সময় পুঁজিবাদ ও নিপীড়ক শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতা দেন। আবার ইসলামিস্টরাও বামদের নাস্তিক ও খোদাদ্রোহী-ধর্মদ্রোহী আখ্যায়িত করে মন্দের ভালো বাছাই করার সময় সুবিধাবাদ আশ্রয়ী শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা করেন। কায়েমি স্বার্থবাদকে প্রশ্রয় দেন। ধর্ম মানলে কতগুলো নৈতিক বিধিবিধান মানতে হয়। কতক মূল্যবোধ মেনে চলতে হয়। কমিউনিস্টদেরও নীতিবোধ ও মানবিক গুণাবলি অর্জনের তাগিদ আছে। ধর্মপন্থী ও বামপন্থীরা এসব ব্যাপারে যত্নশীলও। তাহলে ধর্মীয় ভাবধারাপুষ্ট নৈতিকতা ও বস্তুতান্ত্রিক চিন্তাপ্রসূত মানবিক গুণাবলির মেলবন্ধন হয় না কেন!
বাংলাদেশের রাজনীতিতে কতগুলো নতুন উপসর্গ দেখা যায়। জনগণের ওপর শাসন চলছে জনগণের সম্মতি ছাড়া। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে। আগ্রাসী সম্প্রসারণবাদকে এতটাই প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে- যেখানে সার্বভৌমত্ব উপেক্ষিত হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিদেশের বাজারে রূপান্তরিত হচ্ছে। একই সাথে জাতি ও জনগণের শত্রু ও বন্ধু পাল্টে দেয়ার অপচেষ্টা চলছে। বস্তুবাদকে ভোগবাদে উন্নীত করা হয়েছে। এই জাতির চিরায়ত মূল্যবোধ, ঐতিহ্য চেতনায় আঘাত হানা হচ্ছে। অর্থনৈতিক শোষণের সাথে রাজনৈতিক নিপীড়ন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দিচ্ছে। পরগাছা সংস্কৃতির সয়লাব বইয়ে দেয়া হয়েছে। নিরাপদে ও নিরুপদ্রবে থাকার মতো স্বস্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। জাতির মেরুদণ্ডই শুধু ভেঙে দেয়া হচ্ছে না- একটি জাতিরাষ্ট্রকে কৌশলগত দিক থেকেও বিপজ্জনক হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে। বন্ধু না বাড়িয়ে শত্রুর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। ঐক্যবদ্ধ একটি জাতি, অসাম্প্রদায়িক চৈতন্য লালনকারী একটি জনগোষ্ঠীকে ভাগ-বিভাজন করে অন্যদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সবার বিবেচনায় থাকা ভালো, রাজনৈতিক পরাজয় অর্থনৈতিক পরাজয়কে আবশ্যম্ভাবী করে। তখন সাংস্কৃতিক বিপর্যয় রোধ করা যায় না। আমরা কোন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়াচ্ছি সেটা মগজে রাখা ভালো।
মনে মনে স্বপ্ন দেখি, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাম ও ইসলামিস্টরা যদি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে আপসহীন থেকে ইনসাফের পক্ষে ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে একটি সমতল জায়গায় অবস্থান নিত, তাহলে সুবিধাবাদ, পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদ নিপাত যেত। মানুষের মর্যাদা বাড়ত। ন্যায়নীতি ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পক্ষে একটি নতুন স্রোতের জন্ম নিত। জাতীয় ঐক্যের ফাটল মেরামতের একটি গ্রহণযোগ্য উপায়ও আমরা খুঁজে পেতাম। কবি গবেষক ফরহাদ মজহারের চিন্তাভাবনা ও গবেষণাপ্রসূত প্রবন্ধ-নিবন্ধে একটি সমন্বিত চিন্তার জায়গা দেখতে পাই। মওলানা ভাসানী এ পথে একটি পদচিহ্ন এঁকে গেছেন। কমরেড তোয়াহা, কমরেড নূরুল হক মেহেদী ও মেজর জলিলও বেশ অগ্রসর ভূমিকা পালন করতে সচেষ্ট ছিলেন। কমরেড হক ও সিরাজ শিকদার অনুসারীদের অনেকেই সাম্যবাদের ইসলামি মডেল নিয়ে ভাবছেন। অধ্যাপক মোজাফফর আহমদও বিলম্বিত চিন্তায় বাংলাদেশের বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে চেয়েছেন। আরো কিছু উদ্যে যে কেউ নিতে পারেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সামাজিক শক্তি হিসেবে ইসলামিস্টদের উপড়ে ফেলা কিংবা অস্বীকার করার সাধ্য কারো নেই। লেফটিস্টদের সাংস্কৃতিক বিচরণ রোধ করাও কঠিন। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বলয়ে দ্বন্দ্ব ও সঙ্ঘাত রেখে রাজনৈতিক ঐক্য হয় না। পরস্পরের ধ্বংস কামনা ও নিপাত যাওয়ার দাবি অর্থহীন। তাই মোটা দাগে কয়েকটি ইস্যুতে এক জায়গায় দাঁড়ানোর দায়বোধ সবারই থাকা উচিত। যে অর্থে ইসলামিস্টরা প্রতিক্রিয়াশীল, সংশোধনবাদী ও প্রগতিশীল নয়, একই অর্থে বামপন্থীরাও অভিযুক্ত। যারা ধর্মের তুলনামূলক পাঠে আগ্রহী তারা জানেন, মোশরেকের তুলনায় আহলে কিতাবধারীরা মন্দের ভালো। অভিশপ্ত ইহুদিবাদীদের তুলনায় খ্রিষ্টানরা অধিকতর গ্রহণযোগ্য। রাজনৈতিক ধর্মে পুঁজিবাদের বা ধনতন্ত্রের তুলনায় সাম্যবাদ ভালো হতে দোষ কি!
masud2151@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.