খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কমেছে

টানা তিন মাস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর খাতুনগঞ্জে স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে পেঁয়াজের বাজার। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কমেছে কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেড়ে যাওয়ায় সরবরাহ বাড়তির দিকে রয়েছে। ফলে কমতির দিকে রয়েছে পেঁয়াজের দাম। অন্যদিকে ১৫ দিনের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে পাম অয়েলের দাম কমেছে মণে ২২০ টাকা পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর কমে যাওয়ার পাশাপাশি আসন্ন শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাজারে পড়তি চাহিদার কারণে পণ্যটির দাম নিুমুখী রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে ছিল। এর মধ্যে ভারতে হঠাৎ পণ্যটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ে। বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ থাকা সত্ত্বেও দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে পুরো পেঁয়াজের বাজার। এ সময় ভারত ছাড়াও মিসর, চীন, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেন দেশী আমদানিকারকরা।
টানা তিন মাস এ ঊর্ধ্বমুখী ভাব আস্তে আস্তে কমে এখন স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসছে। দেশের প্রধান পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজের দাম ছিল ৫৫-৬০ টাকা। মঙ্গলবার তা লেনদেন হয় ২০-২৫ টাকায়। ১৫ দিন আগে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৬০-৬৫ টাকা, যা গতকাল ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা। খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ ধরে ওঠানামার মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজের দর। গতকাল প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০-৩৫, মিসরের ২৫-২৮ ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ ২৫-২৬ টাকায় বিক্রি হয়। খাতুনগঞ্জের আমির মার্কেটের চৌধুরী টেডার্সের মালিক ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, তিন-চার মাস আগে ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশেও এর প্রভাব পড়েছিল। এরপর আমদানিকারকরা অন্যান্য দেশ থেকে পণ্যটি আমদানি শুরু করেন। সম্প্রতি ভারত থেকেও পণ্যটির আমদানি বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে বাজারে। ভারত থেকে পেঁয়াজ সড়কপথে চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই দেশে আসতে পারে। কিন্তু মিসর থেকে আমদানি করতে ঋণপত্র খোলা ও জাহাজিকরণসহ সময় লাগে এক মাসেরও বেশি।

No comments

Powered by Blogger.