নিউইয়র্ক ভয়াবহ বন্যার ঝুঁকিতে

বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে আমেরিকার উত্তর-পূর্ব
উপকূলে বার বার বড় ধরনের ঝড় হানা দিতে পারে
বলে সতর্ক করেছেন গবেষকেরা। ফাইল ছবি: এএফপি
নিউইয়র্কের জন্য অশনিসংকেতই বটে! শহরটি বৈশ্বিক উষ্ণতার মারাত্মক প্রভাবের কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বন্যার ভয়াবহ ঝুঁকিতে আছে নিউইয়র্ক। এক গবেষণায় এই সতর্কবার্তা উঠে এসেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নিউইয়র্কে ২০১২ সালে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় স্যান্ডির আঘাতের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, বৈশ্বিক উষ্ণতায় ঘন ঘন ঝড় হচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। এ কারণে নিউইয়র্কে বন্যার ঝুঁকি বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রসেডিংস অব দ্য আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব সাইন্সেস (পিএনএএস) সাময়িকীতে ওই গবেষণা বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে গবেষকেরা সতর্ক করেছেন, আমেরিকার উত্তর-পূর্ব উপকূলে বার বার বড় ধরনের ঝড় হানা দিতে পারে। আগে যা ৫০০ বছর পর পর হতো, ভবিষ্যতে তা ২৫ বছর পর পর হতে পারে। এ জন্য মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন থেকে সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতাকে দায়ী করেছেন বিজ্ঞানীরা।
২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়
স্যান্ডির আঘাতে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ফাইল ছবি: এএফপি
৮৫০ থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত উত্তর আটলান্টিকে হারিকেন সংঘটনের হার এবং এর শক্তি পর্যবেক্ষণ করেছেন গবেষকেরা। এরপর তাঁরা ওই ফলের সঙ্গে ১৯৭০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তথ্যের তুলনা করেন। শীর্ষ গবেষক আন্দ্রা রিডের ভাষ্য, তাঁরা তাঁদের গবেষণায় আটলান্টিক উপকূলে বিশেষ করে নিউইয়র্ক শহরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখতে চেয়েছেন। গবেষকেরা বলছেন, ২০১২ সালে ঘূর্ণিঝড় স্যান্ডির প্রভাবে সৃষ্ট বন্যার পেছনে বেশ কিছু কারণ কাজ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, প্রবল জোয়ার, বিশেষ করে ওই ঝড়ের সামগ্রিক আকৃতি। ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় স্যান্ডি আঘাত হানে। এতে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। নিহত হয় ১৩২ জন।

No comments

Powered by Blogger.