পরিবারের দাবি ‘র‍্যাব ধরেছে’, র‍্যাব বলছে ‘জানা নেই’

কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে আজ শুক্রবার ভোররাতে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ধরে নিয়ে গেছে বলে তাঁর পরিবার দাবি করছে। কিন্তু র‍্যাব বলছে, বিষয়টি তাদের জানা নেই। গত ১৫ আগস্ট সকালে কুষ্টিয়ায় শোক দিবসের র‍্যালি শেষে জেলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে সংঘর্ষে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হন। ওই ঘটনায় করা মামলায় সাজ্জাদ হোসেন প্রধান আসামি। আজ সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সাজ্জাদ হোসেনের পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে মা শাহিদা খাতুন দাবি করেন, আজ ভোর চারটার দিকে গাজীপুরের ড্রিম স্কয়ার রিসোর্টের অপারেশন ম্যানেজার শিমুল আহমেদ মুঠোফোনে জানান, র‍্যাব সদস্যরা গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রিসোর্টে অভিযান চালায়। এ সময় তারা সেখানকার নিরাপত্তা প্রহরীদের আটক করে। পরে রিসোর্ট মালিক মনির হোসেনকে বাড়ি থেকে তুলে আনে। মনিরকে আনার পর রিসোর্টের একটি কক্ষ থেকে সাজ্জাদ হোসেন সবুজ ও তাঁর সঙ্গে থাকা কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবুকে আটক করে র‍্যাব। পরে তারা সাজ্জাদ, লাবু ও মনিরকে গাড়িতে করে নিয়ে যায়।
শাহিদা খাতুন দাবি করেন, আটক তিনজনকেই র‍্যাবের প্রধান কার্যালয়ে রাখা হয়েছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। সাজ্জাদের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া বলেন, ‘আমার স্বামী কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি। সাজ্জাদ যদি প্রকৃত দোষী হয়, তবে তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করা হোক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেদের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হোক। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই আকুতি জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র‍্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার মোসাদ্দেক ইবনে মুজিব বলেন, ‘এ রকম কিছু আমাদের জানা নেই। অনেকেই আমাদের কাছে বিষয়টি জানার জন্য ফোন দিচ্ছে। জানতে পারলে আপনাদের জানাব।’

No comments

Powered by Blogger.