ছাত্রলীগের গুলিতে বৃদ্ধ নিহতের ঘটনায় মামলা, নেতাসহ ১৬ জন আসামি

মাগুরায় ছাত্রলীগের সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ ও এক বৃদ্ধ নিহত হওয়ার ঘটনায় সংগঠনের জেলা শাখার সহসভাপতি সেন সুমনকে (৩২) প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহত মমিন ভূঁইয়ার ছেলে রুবেল ভূঁইয়া আজ রোববার সদর থানায় মামলাটি করেন।
সুমন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ রেজাউল ইসলামের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া আজিব্বর শেখ, মুহম্মদ আলীসহ মামলার অন্য আসামিরা সবাই সংগঠনটির সাবেক নেতা-কর্মী।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সী মামলার কথা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে ফরিদপুর থেকে মো. সুমন (৩০) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই সময় আরেক আসামি মুহম্মদ আলী পালিয়ে গেলেও তাঁর মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁর ভাই ফারুক হোসেনকে (৪২) আটক করা হয়েছে। মামলাটির আরেক আসামি মো. সুবহানকে (২৮) ঘটনার পরদিন গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান আসাদুজ্জামান মুন্সী।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বৃহস্পতিবার মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় কারিগরপাড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের জের হিসেবে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ হন। ওই গুলি তাঁর পেটের সন্তানের শরীরও ভেদ করে। এ সময় মমিন ভূঁইয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ গুলি ও বোমায় গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া এক ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ওই দিন রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ গৃহবধূ নাজমা খাতুনের (৩৫) অস্ত্রোপচার হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর তিনি মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেন। নবজাতক ও মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার রাতে নবজাতককে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রসূতি মা মাগুরা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎ​সাধীন। তবে চার ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করেও বৃদ্ধ মমিন ভূঁইয়াকে বাঁচানো যায়নি। তিনি গত শুক্রবার গভীর রাতে সদর হাসপাতালে মারা যান।

No comments

Powered by Blogger.