বাড়ির পথে ১৪৬ অভিবাসী

মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা ১৪৬ জন অভিবাসী গতকাল শুক্রবার সকালে কক্সবাজার থেকে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তত্ত্বাবধানে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করে আরও নয় কিশোর অভিবাসী।
গত বুধবার নয় কিশোরসহ ১৫৫ জন বাংলাদেশি অভিবাসীকে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরিয়ে আনে বিজিবি। এরপর অভিবাসীদের কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গতকাল সকালে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, অভিবাসীরা গাড়ির জন্য সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করছেন। এরপর একে একে সবাই বাসে উঠে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেন।
বাসে ওঠার আগে কুমিল্লার সাইদুল ইসলাম (৩৫) জানান, দালালের খপ্পরে পড়ে পাঁচ মাস আগে তিনি ঘর ছাড়েন। প্রায় দেড় মাস তিনি সাগরে ছিলেন। দালালের অত্যাচার-নির্যাতনে তাঁর শরীর ক্ষতবিক্ষত। ট্রলারে ঠিকমতো খেতে দেওয়া হতো না। একবার তাঁকে বেদম মারধর করে সাগরে ফেলে দিতে চেয়েছিল দালালেরা।
একই গ্রামের নুরুল ইসলাম (২৪) জানান, ট্রলারে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালালেরা।
কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মাঠে ছেলে মো. ইদ্রিসকে জড়িয়ে কান্নাকাটি করতে দেখা যায় নারায়ণগঞ্জের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে। পরে তিনি ছেলেকে নিয়ে বাসে ওঠেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ জানান, গত বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে নয় কিশোর অভিবাসীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য কক্সবাজার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল শুক্রবার সকালে বাকি ১৪৬ অভিবাসীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁরা সবাই বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেছেন।
বাসে ওঠার জন্য কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে বের হচ্ছেন মিয়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনা অভিবাসীরা। গত বুধবার নয় কিশোরসহ ১৫৫ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনে বিজিবি। গতকাল সকালে তোলা ছবি l প্রথম আলো

No comments

Powered by Blogger.