কারাগারে বিএনপি নেতার ওপর হামলা, প্রতিবাদে হবিগঞ্জে হরতাল

হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছের
ওপর কারাগারে হামলা চালিয়েছেন অন্য
একজন আসামি। উন্নত চিকিৎসার জন্য
তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে। ছবি: হাফিজুর রহমান
হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের ভেতরে এক খুনের আসামির হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সম্প্রতি সাময়িক বরখাস্ত হওয়া হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ। তাকে উন্নত চিকিৎ​সার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই হামলার প্রতিবাদে দলের স্থানীয় নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন এবং আগামীকাল রোববার হবিগঞ্জ জেলায় হরতাল ডেকেছেন।
জি কে গউছ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। গত বছরের ২৮ নভেম্বর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
হবিগঞ্জ জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার সকাল নয়টায় কারাগারের ভেতরে পবিত্র ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে ইলিয়াস মিয়া নামের এক খুনের মামলার আসামি হঠাৎ করে গউছের ওপর হামলা চালান। এতে তাঁর পিঠে ক্ষত এবং রক্তক্ষরণ হয়। এ ঘটনার পর প্রথমে তাঁকে কারা হাসপাতালে চিকিৎ​সা দেওয়া হয়। পরে হবিগঞ্জ জেলা হাসপাতাল থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে আনা হলে তাঁর পরামর্শে গউছকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি হবিগঞ্জ ছাড়ে। হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মো. গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোর কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে, তা জানাতে পারেননি। এ ঘটনায় কারা কোড অনুযায়ী হামলাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ দিকে জি কে গউছের ওপর হামলার খবর পেয়ে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনে অবস্থান নেন। তাঁরা সেখানে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসলাম তরফদার তনু জানান, জি কে গউছের ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল তাঁরা জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবেন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় গত বছরের ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এতে গউছ ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র (সম্প্রতি বরখাস্ত হওয়া) আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.